পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৩৪টি সেতু জরাজীর্ণ। এসব সেতুর মধ্যে ২২টি সেতুই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এত বছর ধরে সেতু জরাজীর্ণ, তবুও সংস্কার হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ সেতুর কোনো সংযোগ সড়ক নেই। কোনো সেতু ২০ বছর আবার কোনোটি ২৫ বছর ধরে সংস্কার করা হয়নি। কিছু সেতুর স্লিপার ও এ্যাঙ্গেল ভেঙে গেছে। ২০১৬ সালে ১৪ ডিসেম্বর সুতাবাড়িয়া খালের সেতু ভেঙে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সাত বছরেও সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি।
সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে- এটা স্বীকারও করেছেন স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। দশমিনা উপজেলার কোন কোন সেতু ঝুঁকিপূর্ণ তার তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে-এমন তথ্য দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়। পর্যায়ক্রমে ৩৪টি সেতুই নতুনভাবে নির্মাণ করে দেবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।
এদিকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর-হেলেঞ্চা ধানতলা খালের সেতুটি সাত বছর আগে ভেঙে পড়ে খালের পানিতে। সেতুটি আর সংস্কার করা হয়নি কিংবা নতুন সেতুও নির্মাণের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। এলাকার ১০ হাজার মানুষ সেতু না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে গত সাত বছর ধরে। কর্তৃপক্ষ এই হবে, এই করে দেবÑএসব স্বপ্নে বিভোর রাখছে এলাকার জনসাধারণকে। এ রকম চিত্র দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই দেখা যায়।
যাতায়াত-যোগাযোগের ব্যবস্থা ছাড়া বর্তমান সময়ে নাগরিকদের একদিনও চলে না। বছরের পর বছর ধরে এতগুলো সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। কিন্তু জরাজীর্ণ সেতুগুলো প্রশাসনের কারও নজরে এলো না কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দশমিনা উপজেলার ৩৪টি জরাজীর্ণ সেতুর স্থানে টেকসই সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেবে, এটা আমরা আশা করব। পাশাপাশি বরিশালের বাকেরগঞ্জের ধানতলা খালের ওপরও একটি টেকসই পাকা সেতু নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে, সেটাও আমরা দেখতে চাই। যত দ্রুত সেতুগুলো নির্মাণ করা হবে, তত দ্রুতই এলাকার মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। তাই জনস্বার্থে দ্রুত সেতুগুলো নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।