অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক: জনতা ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. আব্দুল জব্বার বলেন, অ্যাপসভিত্তিক বিশ্বমানের স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা ‘ই-জনতা’ চালু করেছে জনতা ব্যাংক। কোন চেক বই ছাড়াই এনড্রয়েড মোবাইলে কিউ আর কোড স্ক্যান করে ই-জনতা অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে। পাশাপাশি এ অ্যাপসের মাধ্যমে যে কোন ব্যাংকের শাখায় অর্থ প্রেরণ, ডিপিএস ও ঋণের কিস্তি পরিশোধেরও সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বিকাশ বা নগদ ওয়ালেটেও টাকা পাঠানোর সুবিধা রয়েছে।
শুক্রবার জনতা ব্যাংক পিএলসি এর ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্বে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের কোম্পানী সচিব ও জিএম এমএইচএম জাহাঙ্গীর।
আব্দুল জব্বার আরও বলেন, ২০২৩ সালে শ্রেণিকৃত ঋণ হতে ২২৫ কোটি এবং অবলোপনকৃত ঋণ হতে ৭৮ কোটি টাকা নগদ আদায় করেছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা এবং ঋণ ও আমানত অনুপাত (এডি রেশিও) ৮৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। লোকসানি শাখা ৩৩ টি থেকে এখন ২৮ টি শাখায় নিয়ে এসেছে জনতা ব্যাংক।
সভায় সিইও বলেন, ২০২৩ সালে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক বাবদ জনতা ব্যাংক সরকারি কোষাগারে মোট ১ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা জমা করেছে। আগের বছর জমার পরিমান ছিল ১ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ১৮ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
ব্যাংকের সিইও মো. আব্দুল জব্বার বলেন, গত বছর জনতা ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এক লক্ষ ১০ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। সেইসাথে ঋণ ও অগ্রীমের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৮ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার পরিমান ৫৮৪ কোটি টাকা এবং নীট মুনাফার পরিমাণ ৫৫ কোটি টাকা। সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় প্রদানকৃত সেবার আর্থিকমূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ধরা হলে পরিচালন মুনাফা আরও বৃদ্ধি পেতো।
সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কমারুল হক মারুফ, ব্যাংকের পরিচালক অজিত কুমার পাল, কে এম সামছুল আলম, মো. আব্দুল মজিদ, রুবীনা আমীন, মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ, বদরে মুনির ফেরদৌসসহ ব্যাংকের ডিএমডি ও মহাব্যবস্থাপকগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে করতে হবে। খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের আধুনিক ব্যাংকিয়ে নিজেকে উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।’