নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক হিসাবে এই তথ্য দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে দুই কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫০ গ্রাহক ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন। এ ছাড়া, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ওজোপাডিকোর ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০০ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলেন। পরে, ৩ লাখ ২১ হাজার ১৫০ গ্রাহকের লাইন ঠিক করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬৫টি সমিতির গ্রাহক সংযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। মোট ৮০ সমিতির অধীনে ২ হাজার ৭১৭ বিদ্যুতের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৫৩টি, তার ছিঁড়েছে ৭১ হাজার ৭২৯ জায়গায়, ইনস্যুলেটর ভেঙেছে ২২ হাজার ৮৪৪টি এবং মিটার নষ্ট হয়েছে ৫৩ হাজার ৪২৫টি।
প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে ক্ষয়ক্ষতির এ চিত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চলমান থাকায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র সরেজমিনে পরিদর্শন করে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং ওজোপাডিকোর কর্মীরা প্রয়োজনীয় মালামালসহ প্রস্তুত আছেন। ঝড় বা বাতাস কমার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালের অধিকাংশ গ্রাহক এবং ফেনী, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এলাকাভেদে ১০ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না এসব এলাকার গ্রাহকরা।