পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে চরম উত্তেজনার মধ্যে ইতিবাচক বার্তা বিনিময় করেছে ইরান ও পাকিস্তান। ফলে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা কমে আসছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
শুক্রবার এক এক্সবার্তায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলোচ বলেছেন, পাকিস্তানি অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি ও ইরানি অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রাসুল মুসাভির মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচনায় দুপক্ষের মাঝে কিছু ইতিবাচক বার্তা বিনিময় হয়েছে।
আরেক এক্সবার্তায় রহিম হায়াত বলেন, পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানে দুই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। দুপক্ষের মধ্যে আস্থা ও ভরসা পুনরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ। এ আস্থা ও ভরসা সব সময় দুই দেশের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সন্ত্রাসবাদসহ আমাদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
ইরানি কর্মকর্তা সৈয়দ রাসুল বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা সমাধানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেষ আশ্রয়স্থল। দুই দেশের নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জানেন যে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা থেকে শুধু সন্ত্রাসী ও শত্রুরা লাভবান হবে।
গত মঙ্গলবার থেকে পাকিস্তান ও ইরানের সম্পর্ক উত্তপ্ত। সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে দেশটির অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা চালিয়েছিল ইরান। তাদের হামলায় পাকিস্তানের দুই শিশু নিহত এবং তিনজন আহত হয়। ইরানের এই হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার দেশটিতে পাল্টা হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ইরানের সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে এমন হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পাকিস্তানে হামলার বিষয়েও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছিল তেহরান।
ইরানের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করার আগে বুধবার কড়া পদক্ষেপ নেয় ইসলামাবাদ। ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়া ছাড়াও ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে দেয় ইসলামাবাদ।