নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম আমি বরদাস্ত করবো না। সরকারি কেনাকাটাসহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার পরিচালনার স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি আয় ব্যয় এবং ক্রয় এসব বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে এবং স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার সঙ্গে করতে হবে। এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম আমি বরদাস্ত করবো না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশের জন্য ভালো না। আমাদের যতটুকু সম্পদ আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাবো। আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে আমরা এগোবো।
তিনি বলেন, রমজান মাসে যে পণ্যগুলো আমাদের বেশি লাগে সেগুলোর মূল্য যেন ঠিক থাকে এবং সেগুলো যেন বাজারে পাওয়া যায়, সরবরাহ যেন ঠিক থাকে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পণ্যের দাম কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার, খাদ্যপণ্যের যখন দাম বাড়ে তখন কৃষক খুশি হন। কিন্তু যারা ভোক্তা তারা দুঃখ পান। তাদের ওপর চাপ এসে পড়ে। এটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে, এটাকে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় এ বিষয়ে আমাদের খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি যেটা হবে, মূল্যস্ফীতি তার চাইতে কম থাকতে হবে। তাহলেই তার সুফলটা দেশের সাধারণ মানুষ পাবে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি আমরা কমিয়েছি, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১২ শতাংশ উঠে গিয়েছিল, সেটাকে কমিয়ে নয় শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্য সবমিলিয়ে আট শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু এটাকে আমাদের আরও কমাতে হবে।
নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সীমিত সম্পদ, জনসংখ্যা বেশি। আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়েই জনগণের কল্যাণ করতে হবে।
সামাজিক সুরক্ষা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স্কভাতা ও সামাজিক সুরক্ষা ভাতা সঠিক লোক যথাযথভাবে যেন পায়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।