নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর দিন বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রীদের জন্য পরিবহন পুলে নতুন গাড়িও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কারা মন্ত্রী হচ্ছেন সে তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি। কাজেই তাদের ফোন দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ১৩ শ থেকে ১৪ শ অতিথির তালিকা করা হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভায় পুরনোদের মধ্য থেকে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রাখা হতে পারে। নতুন মুখ থাকবে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ।
সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শপথ অনুষ্ঠান করতে হয়। এরপর কতদিনের মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে হয় এর সাংবিধানিক কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর, গেজেট ২ জানুয়ারি আর মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে ৬ জানুয়ারি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। এরপর ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশের পর ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন হয়। আর ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের পর পহেলা জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ হয়ে ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল।
কিন্তু গেলো তিন টার্মে কিছুটা ব্যতিক্রম হচ্ছে এবারের মন্ত্রিসভার শপথ। সংসদ সদস্যদের শপথের একদিন পরই মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবারের মন্ত্রিসভায় পুরনো থেকে ৪০ শতাংশের বেশি থাকতে পারে। আর বাকি অংশে চমক দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সচিব আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথের প্রস্তুতির কাজ চলছে।
এদিকে, এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা কত সদস্যের হবে এবং কারা থাকছেন এর সবটাই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
টেকনোক্রেট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী ছাড়া একাদশ সংসদে মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন ৪৪ জন। এবার কত সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন হবে তা জানার জন্য আর মাত্র দুইদিন অপেক্ষা করতে হবে দেশের মানুষকে।