নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে মৌসুমি সবজির আধিক্য থাকলেও দাম বেড়েই চলেছে। অন্যান্য বছরগুলোর শীত মৌসুমে বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ শুরু হলে কমতে থাকে পুরান আলুর দাম।
কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। মাসখানেক আগে থেকেই বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলুর সরবরাহ থাকলেও কমেনি দাম। উলটো বিভিন্ন অজুহাতে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে রাজধানীর বাজারভেদে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০টাকা দরে। এছাড়াও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে মাছ, মুরগি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য উঠে আসে।
সরজমিনে রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারটিতে পুরোনো আলুর সরবরাহ কম থাকলেও নতুন আলুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। পুরোনো দেশি ও এলসি (ভারতীয়) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। দেশি রসুন ২৫০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২২০ টাকা কেজি। আদা প্রতি কেজি ২২০ টাকা। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১৩০ টাকা । চিনি ১৪৮ টাকা কেজি। এক লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা ও পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ টাকা।বাজারটিতে শীতকালীন প্রচুর সবজির সরবরাহ রয়েছে। এরপরও প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন ৯০ টাকা কেজি। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৪৫ টাকা পিস। কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা ও পাকা টমেটো ৮০ টাকা কেজি । একেকটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
রামপুরা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জামাল মিয়া বলেন, সরবরাহ গতবারের তুলনায় কম। তাই আলুর দাম কমছে না। বাজারে খুচরায় বড় আলু ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না।
এদিকে শীতের সবজি কিনতে বাজারে আসা আফজাল মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে তো নতুন আলু এসেছে কিন্তু দোকানদারেরা কারসাজি করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এক মাস আগে থেকেও ৭০ টাকায় আলু কিনতে হচ্ছে। সরকারকে বাজার তদারকিতে নজর দিতে হবে।
রামপুরা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী করিম হোসেন বলেন, নির্বাচন তাই বাজারে মুরগির বিক্রি বেশি হচ্ছে। বেশি দাম দিয়েও মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য মুরগির দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।