নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় আগাম সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশেও মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ আর নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন ভ্যারিয়েন্টও চিহ্নিত হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধে অন্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থাসমূহ নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে।
বিশেষত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল বা যে কোনো চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো প্রতিরোধে মাস্ক সহায়ক হবে।
সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করতে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বাড়লে কোভিডের নমুনা পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সব প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভায় সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে কমিটি শুধু কোভিডের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে।