নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান উপলক্ষে প্রচুর ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনো সংকট হবে নাÑ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের এমন আশ্বাসের ১৭ দিন পরও বাজারে তেলের সংকট মিটছে না। গতকাল বুধবারও বিভিন্ন বাজারের অধিকাংশ দোকানে সয়াবিন তেলের বোতল দেখা যায়নি। খোলা তেল পাওয়া গেলেও দাম বেশি। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না।
রমজানের শুরুতেই বাজারে চড়া দামে ফল বিক্রি হচ্ছে। আমদানি কম হওয়া এবং পরিবহন খরচের অজুহাতে তরমুজ, মাল্টা, কমলা, আঙুর, আনারসসহ রসালো ফলের দাম বেড়েছে ৫০-২০০ টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এমন দাম বাড়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। একই অবস্থা খেজুরের বাজারেও। রমজান শুরুর আগে কমতে থাকা খেজুরের দাম হঠাৎ করেই যেন আবার কিছুটা বেড়েছে। নিম্নমানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও একটু ভালো মানের খেজুর নিতে হচ্ছে ৮০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশে গত অগাস্ট মাসে রাজনৈতিক পালাবদলের পর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়ে যায়, যদিও গত বছরের রমজানের তুলনায় এ বছর অনেক পণ্যের দাম কমেছে। তবে আমদানিকৃত পণ্যের দামে অনেকটাই নাজেহাল সাধারণ ক্রেতা। বিশেষ করে ভোজ্যতেল নিয়ে বাজারে চলছে তেলেসমাতি। ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুরের দামেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বেড়েছে আমদানিকৃত সব ধরনের ফলের দাম।
এছাড়া আমদানিকৃত সব ধরনের মসলা বিশেষ করে হলুদ, আদা, জিরা, লবঙ্গ, এলাচ দানা, তেজপাতার দামে রমজানের প্রভাব পড়েছে অনেকটাই। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০ থেকে৫০ টাকা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পার্শবর্তী দেশ ভারত অনেকটাই বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। তাদের মতে, বাংলাদেশ আমদানির বেশিরভাগই ভারত থেকে আসতো। কিন্তু দু’দেশের সম্পর্কেল টানাপোড়েন এবং ভিসা জটিলতার কারণে নিত্যপণ্য আমদানিতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে।
রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতারের পাতে শোভা পায় বাহারি রকমের খাবার। যে কারণে অন্যান্য পণ্যের তুলনায় চাহিদা বাড়ে পেঁয়াজ, ডাল (মসুর), খেজুর, ডাবলি (অ্যাংকর), গম, অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের। ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে রমজানের কয়েক মাস আগেই এসব পণ্য আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। সরকার পতনের আন্দোলন, ডলারের রেট বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে টালমাটাল পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের। সব বিবেচনায় রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১১ পণ্য আমদানি সহজ করতে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই ১১ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসির মার্জিন ৩১ মার্চ পর্যন্ত ন্যূনতম পর্যায়ে কমানোর সুযোগ পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিগত ছয় মাসের হিসাবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমদানি বেড়েছে। এতো আমদানির পরেও এবার রমজানেও ইফতারের উপকরণের দাম লাগামহীন। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর পণ্যের দামে ক্রেতারা অনেকটাই নাজেহাল। গতকাল বুধবারও বিভিন্ন বাজারে খেজুর, ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যে শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।
রেকর্ড আমদানির পরও দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। কোনো দোকানে খোলা তেল পাওয়া গেলেও তা ২০০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না। দূর হচ্ছে না তেলের সংকট। আবার রমজানের আগে কিছু পণ্যের দামে উত্তাপ ছড়ালেও বর্তমানে একটু স্বস্তির বার্তা দিয়েছে চিনি, ছোলা ও ডাল। তৃতীয় রমজানেও ছোলা, চিনি ও খেসারির ডালের দাম বাড়েনি। বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই ছোলা ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ও ছোলার ডাল ১৩০ টাকা কেজি, বেসন, খেসারির ডাল ১১০, চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রমজানের পণ্যগুলোর ওপর যে হারে শুল্ক সুবিধা দেয়া হয়েছে, সেই হিসাবে ডলারের দাম এত বাড়েনি। এখন ডলারের জোগানও বেড়েছে। বিশ্ববাজারেও বিভিন্ন পণ্যের দাম এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তাই ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বাজারে পরার কথা নয়।
জুলাই পরবর্তী ভারত থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ আচমকা কমে যায়। ফলে গত আগস্ট মাসেই বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি এক লাফে প্রায় ২৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল, যদিও তা সেপ্টেম্বরে ধীরে ধীরে কিছুটা ‘স্বাভাবিক’ পর্যায়ে ফিরে এসেছে। তবে অক্টোবরেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থল বন্দর নানা কারণে দিনের পর দিন বন্ধ থেকেছে। সম্পর্কের জটিলতা এখনো কাটেনি। ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকা ও শুল্কছাড়ের কারণে দাম খুব একটা না বাড়ার ব্যাপারে আশার বাণী শোনালেও আশ্বস্ত হতে পারছে না ভোক্তারা।
বাংলাদেশে রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দীর্ঘদিনের। চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মোটা চাল থেকে সয়াবিন তেল, আলু থেকে ছোলা ও খেজুর থেকে ডিমÑ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। রমজান শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে কাঁচাবাজার ও আশপাশের দোকানে যান। আর তখনই শুনতে হয় পণ্যের বাড়তি দামের কথা। এবারের রোজা শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকাবাসীকে মোটা চাল, ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুর ও ডিম গত বছরের তুলনায় বেশি দামে কিনতে হয়েছে। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে এসব পণ্যের বাড়তি দাম কম ও নির্দিষ্ট আয়ের পরিবারগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছেÑ ২০২৫ সালে সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে পাঁচ পণ্যের দাম বেশি ছিল। রমজানে এসবের চাহিদা বেড়ে যায়। রমজান উপলক্ষে দেশে সরকারি-বেসরকারি খাতে আমদানি করে পণ্যের মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকে। এ সময়ে ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্য তেলসহ নানা পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। ভোক্তার বাড়তি চাহিদার জোগান দিতে রোজার তিন থেকে চার মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজার সময় বাড়তি চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরবরাহ ব্যবস্থায় কারসাজি হয়।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্য ও দুর্বল সরকারি নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তোলে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে এবার ১৫ হাজার কোটি টাকার ভোগ্য পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আসছে এসব পণ্য। সরকারি উদ্যোগে আসছে চিনি, ছোলা, সয়াবিন তেল, চাল ও গমের মতো পাঁচ পণ্য। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও পণ্যের ‘সাপ্লাই চেইন’ স্বাভাবিক রাখতে ১৫ মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগে একটি সমন্বিত কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে। এতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে রোজায় আমদানীকৃত ভোগ্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলেছে, রমজানসহ অন্যান্য সময়ও নিত্যপণ্যের সরবারহ স্বাভাবিক রাখতে গত বছরের চেয়ে বেশি পরিমাণ এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এলসি খোলার হার বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে ৩২৬ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে এলসি খোলা হয়েছিল ৩১৬ কোটি ডলারের। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এই বছরে ১০ কোটি ডলারের বেশি এলসি খোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, গত বছররের তুলনায় এই বছর অনেক পণ্যেরই দাম কমেছে। দু-একটা পণ্যে অস্থিরতা দেখা গেছে। এর মধ্যে সয়াবিন তেল। এখানে এখনো আগের মতো অবস্থা দেখা যাচ্ছে। প্রতি বছরেই রমজানকে সামনে রেখে কিছু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করেন। এবারও ভোজ্যতেলের বাজারে এটা চলছে। নাজের হোসাইন বলেন, এবার পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। সংকটের কোনো কারণ নেই।
আমরা বিগত দিনে দেখেছি দেশে ৫-৬টি কোম্পানি সয়াবিনের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ার পর সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়াটা তাদের কৌশল। সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়ে সরকারের কাছে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এবারও সেটিই করা হচ্ছে। রমজানকে ঘিরে তারা এমন কারসাজি করছে। যা প্রতি বছরই করা হয়ে থাকে। খুচরা বাজারে কিছু অভিযান হচ্ছে, সরকারের উচিত মূল জায়গায় হাত দেয়া।
আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে খেজুরের চাহিদা প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে শুধু রমজানেই খেজুরের চাহিদা থাকে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় ডাল ও ছোলা আমদানি বেশি হচ্ছে। তবে এবার বিশ্ববাজারে ছোলার দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বাড়তি দরের কারণে দেশের বাজারে ছোলার দাম কিছুটা বেশি। গত বছর পাইকারিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে ছোলা বিক্রি করেছি, এ বছর ১১৩ থেকে ১১৪ টাকা কেজিতে ছোলা বিক্রি করতে হচ্ছে।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার-সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, রমজানে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ব্যাংকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ব্যাপকহারে এলসি খোলা হয়েছে। রমজানের সব ধরনের পণ্য ব্যাপকভাবে আমদানি করা হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় দামও কমছে বেশ।
বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে।
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সাশ্রয়ী মূল্যে খেজুর, ছোলা, চিনি, সয়াবিন তেল ও ডাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হবে সারা দেশে। ফ্যামিলি কার্ডের পাশাপাশি টিসিবির ট্রাকসেল কার্যক্রমেও এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে সারা বছর ভোজ্য তেলের চাহিদা ২১ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। কেবল রোজার মাসে ভোজ্য তেলের চাহিদা থাকে চার লাখ টনের মতো। সারা বছরের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন চিনি, এর মধ্যে তিন লাখ টনের চাহিদা থাকে কেবল রোজার সময়। সারা বছর যেখানে পাঁচ লাখ টন মসুর ডাল লাগে, সেখানে রোজায় চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের মতো। ডালের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয় দেশে, যার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় রোজার মাসে। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। ২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার পাঁচ লাখ টনই ব্যয় হয় রোজার সময়।