নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আগামীতে মধ্যবিত্তদের ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার (২মে) রাজধানীর মিরপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে সুবিধাভোগীরা যেন সময়মতো পণ্যগুলো নিতে পারেন। আগামীতে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে দোকান গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে টিসিবির মাধ্যমে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ জন্য আগামী অর্থবছরে টিসিবির একটি বাফার মজুত তৈরি করার চেষ্টা করা হবে।
রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে—জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক কোটি পরিবার যখন এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পায়, তখন চিনি, চাল, ডাল ও তেলের বাজারের চাহিদাও কিছুটা পূরণ হয়। এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে চারটি পণ্য দিয়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা কর হচ্ছে।
চলতি বড় মৌসুমে ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্য বিভাগ ধান ও চাল সংগ্রহ করছে। আশা করি, আমরা চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন ও টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল ইকবাল।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে এক কোটি সুবিধাভোগী পরিবারকে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা দরে দুই কেজি মশুর ডাল ও ঢাকায় ৭০ টাকা দরে এক কেজি চিনি দেওয়া হবে। প্রতি প্যাকেজের মূল্য ৫৪০ টাকা।