পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংক পিএলসি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর অনুমতি পেয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটির বর্তমান মূলধন ৭০০ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংক মূলধন বাড়িয়ে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা করতে পারবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাবের যুগ্ম সচিব মীনাক্ষী বর্মন এই সংক্রান্ত চিঠি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি ইক্যুইটির বিপরীতে সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে পারবে রূপালী ব্যাংক।
রূপালী ব্যাংক সেবার মান বৃদ্ধি, খেলাপী ঋণ আদায় ও ঋণ বিতরণে বৈচিত্র আনয়নের মাধ্যমে ২০২৩ সালে মুনাফাসহ সকল আর্থিক সূচকে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকটির খেলাপী ঋণ আদায়, আমানতের প্রবৃদ্ধি, ঋণ বিতরণ, নতুন হিসাব খোলা, লোকসানী শাখা কমানো ও অটোমেটেড চালনসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
গত বছরের প্রথম নয় মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫ ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাশ ফ্লো বা শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের। তালিকাভুক্ত এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি সহ ২২টি ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে।
সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) রূপালী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৫৪ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৬৯ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৮৬ টাকা ১২ পয়সা। ব্যাংকটি ২০২২ সালে যেখানে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ১০৬ কোটি সেখানে ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। পরিচালন মুনাফার এই চিত্র পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত একমাত্র রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র। বছর শেষে পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭ গুণেরও বেশি।
গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ৭ গুণ। শুধু মুনাফা নয় বরং খেলাপি ঋণ আদায়, আমানতের প্রবৃদ্ধি, ঋণ বিতরণ, নতুন হিসাব খোলা, লোকসানি শাখা কমানো, অটোমেটেড চালানসহ সকল ক্ষেত্রের অর্জনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকটি। নগদ আদায়েও ব্যাংকটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ সফলতা এসেছে। এক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সফলতা দেখিয়েছে ব্যাংক
ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৪৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০৫। সরকারের কাছে রয়েছে ব্যাংকটির ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার। আর বাকি ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।