নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রখর রোদ কিংবা ভারী বৃষ্টিপাতের সময়েও দায়িত্ব পালন করে সড়কে যান চলাচল সচল রাখেন ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তাদের বেশ প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এছাড়া, কাজের ফাঁকে তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তেমন উপযুক্ত স্থান নেই বললেই চলে। তাই ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জোর দাবি জানাব যে, আমাদের ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকে। তাদের জন্য যদি মাঝে মাঝে বিশ্রামের একটু করে দেন… এই আহ্বানটি রাখছি। তাহলে ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে, তাদের সেবার পরিধি বাড়বে। তারা আরও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করবে, এই আস্থা ও বিশ্বাস রাখি।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫০টি থানা ও ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি। প্রতিটি পুলিশ সদস্য ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। ডিএমপির যতগুলো ইউনিট আছে, সবগুলোই খুব সুন্দর কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল, সেই জন্য আমরা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন করেছিলাম। আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছিলাম, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছিলাম। এছাড়া, আমরা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্র্যাফিক ইউনিট করেছি, যা ডিএমপি কমিশনারের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই জায়গায় এসে মনে যায় সেই দিনের (২৫ মার্চ) কথা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ডাকে পুলিশ বাহিনী নিজেদের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় অনেকে শহীদ হয়েছিলেন। আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেছিলেন, পুলিশ জনগণের পুলিশ হবে। আজকে কিন্তু আমাদের পুলিশ জনগণের পুলিশ হয়েছে। জনগণের জন্য তারা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। আরও বিশ বছর আগে যদি পুলিশের কথা চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেত।
মন্ত্রী বলেন, আজকে কিন্তু মানুষ পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখছে। কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন যে, মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পরে পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে। কাজেই পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে, আমরা মনে করি যে, বিপদে-আপদে সবসময় তারা আমাদের পাশে আছে। ডিএমপিও সেই কাজটিই করছে ঢাকা নগরীর জন্য।