নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট বর্জন ও প্রতিহতের ঘোষণার মধ্যেই আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণ ঘিরে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমূহের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যারা আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তাদের প্রধানদের সঙ্গে আমাদের বিশেষ মিটিং শেষ হলো। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মহোদয়সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সব বাহিনী মাঠ পর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল, যে কোনো বাহিনীর কত জন, কোথায় কীভাবে কাজ করছেন। সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে মাননীয় কমিশনকে অবহিত করেছেন।
ইসি সচিব বলেন, তারা প্রত্যেকেই বলেছেন, এই পর্যন্ত মাঠে যে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা, তা এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এজন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় রাখবে। যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।
‘প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী তারা মোতায়েন থাকবে। কেন্দগুলো অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুইজন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ তিনজন পুলিশ এভাবে নিয়োজিত করা হয়েছে’—যোগ করেন তিনি।
সচিব বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, তারা তো পেট্রল ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পেট্রল ডিউটি করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে অবস্থান করবে। যখন স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তারা সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে কাজ করবেন। এছাড়া সমন্বিতভাবে তারা পেট্রল ডিউটি অব্যহত রাখবে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে যেন কোনো ভীতি না থাকে, এই বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করবে।
‘যেহেতু নির্বাচন একেবারে কাছে। তাই এটি একটি ফলোআপ মিটিং ছিল। তারা কমিশনকে মাঠের অবস্থাটা অবহিত করছেন। কমিশনের অবস্থাটা আমরা বারবার বাইবেলের মতো বলে যাচ্ছি ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। যিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাবেন তিনি আইনের আওতায় আসবেন।’
যদি কোথাও সহিংসতার খবর পাওয়া যায় সেখানে সশস্ত্র বাহিনী মুভ করবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সেটা প্রতিহত করার যেকোনো ব্যবস্থা নেবে- সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন যেখানে মনে করবে সেখানে তারা মোকাবিলা করবে।