আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। শুধু বাংলাদেশ বা সেদেশের মানুষই নয়, পদ্মা পাড়ের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ বা কৌতূহলের শেষ নেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের। তাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশে যেন একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আসে।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এমন একটি সরকার দেখতে চাই যারা গণতন্ত্রে আস্থাশীল, মানুষের অধিকারে আস্থাশীল এবং যার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব অনন্তকালের জন্য থাকবে। আমরা সেই সরকার চাই না, যেই সরকারের আমলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিভেদ তৈরি হবে।
কলকাতার সাবেক মেয়র ও সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আমরা চাই এই উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ক্ষমতায় থাকুক। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ক্ষমতায় না থাকলে কি বিপদ হতে পারে তা আমরা দেখেছি। আমরা চাইবো বাংলাদেশের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পক্ষে রায় দেবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যাতায়াতের পথে আমার উপলব্ধি হয়েছে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথের আদর্শকেই গ্রহণ করতে চায় তারা অন্য কিছু চায়না।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক সভাপতি ও লোকসভার কথা মাথায় রেখে গঠিত নতুন নির্বাচনী কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা বলেন, এখন যারা সরকার গড়ার দাবি নিয়ে আসছে, তাদের থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তারাই ভালো।
বাংলাদেশের নির্বাচনের পরেই ভারতের নির্বাচন। অনেকের মতে, বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপর ভারতের নির্বাচনের সমীকরণ অনেকটাই পরিবর্তন হতে পারে। তাই গোটা ভারতবাসীই বাংলাদেশের নির্বাচনে ওপর নজর রাখছে।