নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাহলে এখনো কেন তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আসবে না, কেন তাদেরকে ভিসা নীতি দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভিসানীতি নিয়ে অনেক কিছু বলেছিল। নির্বাচনে করতে যারা বাধা দিতে তাদেরকে ভিসা নীতি দেবে। এখন বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আসবে না, এই বিষয় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয় হবে ইনশাল্লাহ, কত আসন পাবে সেটা নির্বাচনের পরেই বুঝা যাবে। আমরা আশা করি ভালো আসন পাব। নির্বাচনের পরেই নির্দিষ্ট ভাবে সংখ্যা বলা যাবে। নির্বাচনের রেজাল্ট বলে দেবে বিরোধী দল কারা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনের পরেই বুঝা যাবে নির্বাচন বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা। বিএনপি থাকলে নির্বাচনটা মোরকম্পিটিটি হতো, সেটা আমরা স্বীকার করি। তারপরও নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সকল ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে আজকে সকালে কমনওয়েলথের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সাথে আওয়ামী লীগের বৈঠক হয়। এই নির্বাচন নিয়ে কমনওয়েলথের এর ব্যাপক আগ্রহ আমরা লক্ষ্য করেছি। তারা আশা করছে এ নির্বাচন একটি সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪-১৮ সালে কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না পাঠালেও এবার পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ নাশকতা করলে আর ফলাফল ভালো হবে না। এই নির্বাচনে ভোটারদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করার করবে, যাতে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। কেউ যেন সংঘাত সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সতর্ক পাহারা দিতে হবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। ভোটারদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে নিজে ও পরিবারের সকলকে নিয়ে সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন হরতাল হলো মরচে ধরা হাতিয়ার। বিএনপি এর আগেও এই হরতাল আন্দোলন করেছে কোন লাভ হয়নি, ভবিষ্যতেও লাভ হবে না। ভোটারদের কেন্দ্রে আনা ও তাদের ভোটদানের সহযোগিতা করতে আমাদের টিম আছে। তারাই কাজ করবে। এছাড়া ভোটাররা সতর্কভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিবেন। এর আগে বিএনপির হরতাল অবরোধ আমরা দেখেছি নামে আছে কিন্তু বাস্তবে তা নেই।
তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে অভূতপূর্ব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষায় আছে এবারও মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার প্রতীক নৌকা।