নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশের জনগণ একতরফা পাতানো নির্বাচন বর্জন করেছে। অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশে ডামি ও তামাশার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না।’
যে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করা হয়ে আছে সে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বও তথাকথিত ভোটের উৎসবকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জোর করে তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকাছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। রিলিফ ও ভাতার কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মসজিদ ও কবরস্থানে জায়গা না দেওয়ার ভয়ও দেখানো হচ্ছে।’
‘নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, ভোটের উৎসবের বদলে সারা দেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে’- এমন মন্তব্যও
বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে বুধবার সকালে রাজধানীর শান্তিনগর মোড় ও কাঁচাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, জিয়া হলের যুগ্ম সম্পাদক বাবু, প্যাব সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হাসান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফজলুল হক, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক হৃদয় প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘জোর করে নির্বাচনের আয়োজন করে দেশটাকে জাহান্নাম বানানো হচ্ছে। এখানে কোনো নির্বাচন নেই, জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সেজন্যই জনগণ এ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ সময় বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।