হাওলাদার বেলাল, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরের চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট এলাকায় রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে তার উদ্যোগে একটি যাত্রী- ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এতে লঞ্চে যাতায়াতের যাত্রী ও খেয়াপারাপারের যাত্রী সাধারণ অনায়াসে বিশ্রাম নেয়ার জন্য উপযুক্ত হয়েছে।
ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এ লঞ্চঘাটে আসে বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরো এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির বিভিন্ন এলাকার শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল দৈনিক এ খেয়ার মাধ্যেমে পারাপার হয়ে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাট সহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া, বড়ইয়ার উত্তমপুরে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ, হাট পুটিয়াখালী, রাজাপুর, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া এমনকি এই খেয়া পার হয়ে বহু মানুষ খুলনায়ও যাতায়াত করে। তাই চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট এলাকায় যেমন একটি যাত্রী ছাওনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্মান করে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে বিশ্রাম নিতে পারে তেমনি ভাবে রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের চরপালট এলাকায়ও রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার উদ্যোগে একটি যাত্রী ছাওনি নির্মাণ করে দিলে নলছিটি ও রাজাপুর এলাকার খেয়া পারাপারের যাত্রীদের উপকার হবে বলে জানান এলাকাবাসী।
চল্লিশকাহনিয়া ও চরপালটে খেয়াঘাট খেয়ার মাঝি ইদ্রিস মিয়া এবং ঝলক জানান, রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে একটি যাত্রী ছাওনি নির্মান করে দিয়েছে এতে করে যাত্রী সাধারণের বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দূর দুরান্ত থেকে খেয়া পারাপারের যাত্রীরা এসে বিশ্রাম নিতে পারে ।
তারা আরো জানান, দুঃখের বিষয় হলো যে চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চ ঘাট ও খেয়াঘাট এলাকায় একটি যাত্রী ছাওনি হলেও চরপালট খেয়াঘাট দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত। চরপালট খেয়াঘাট বেরি বাঁধের সাথে তাই দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীগণ রোদের সময় রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টির সময় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে তাই রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানাবো স্যার যেন চরপালট খেয়াঘাট এলাকায়ও একটি যাত্রী ছাওনি নির্মান করে দেয় তাহলে চরপালট খেয়াঘাটে এসে যাত্রী সাধারণ রোদ ও বৃষ্টিতে বিশ্রাম নিতে পারবে।
খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণ জানান, রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই কারন ইতোমধ্যে তিনি চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চ ঘাট ও খেয়াঘাট এলাকায় একটি যাত্রী ছাওনি নির্মান করে দিয়েছেন এতে করে আমরা দূরদূরান্ত থেকে এসে বিশ্রাম নিতে পারি। অনুরূপ ভাবে রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের চরপালট খেয়াঘাট এলাকায়ও তিনি যদি তার উদ্যোগে একটি যাত্রী ছাওনি নির্মান করে দেয় তাহলে আমাদের জন্য অনেকটাই ভালো হবে। আমরা দূরদূরান্ত থেকে এসে এ খেয়াঘাট এলাকায় বিশ্রাম নিতে পারব।



