নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এডিবি ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকার প্রতিনিধি দল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফান্ড দেওয়ার বিষয়ে তিন তিনজনই (এডিবি-জাইকার প্রতিনিধি ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার) ইতিবাচক। এডিবির বাজেট সাপোর্ট আসবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। আইএমএফ ৪.৭ বিলিয়ন ডলার দেবে। আমরা আরও ৩ বিলিয়ন ডলার চেয়েছি।
তিনি বলেন, জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা কন্টিনিউ করতে বলেছি, সেটা ওরা কন্টিনিউ করবে। এছাড়া আরও দুটি বিষয়ে কথা বলেছি। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে।
বৈদেশিক ঋণের ফ্লো কমে গেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক ঋণের ফ্লো ঠিক ছিল। ফ্লো একেবারে কম আসেনি। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ যারা এসেছিলেন তারা তিনজনই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি, এতদিন তাদের যে চলমান সহায়তাগুলো ছিল সেটা আরও জোরদার করতে বলেছি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। কারণ তারা যেসব সহায়তা করে সেটা সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপ, কানাডা ও ইউকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা যে সহযোগিতা করে সেটা তহবিল হিসেবে করে। তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব সীমিত দেশের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া যদি এখানে আসে আমরা আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। সেখানে আমাদের সীমিত। তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে। তারা এনার্জি, অ্যাগ্রিকালচার খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
উপদেষ্টা বলেন, সার্বিকভাবে তিনটা উন্নয়ন সহযোগী দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে আরও বেশি এনগেজ থাকবে।