নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মারা গেছে মানুষ।
বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ‘ব্যাপক’ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতভর তাণ্ডবের পর সোমবার (২৭ মে) দিনব্যাপী দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা কমলেও বৃষ্টিপাত থামেনি। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশ কিছু উপজেলা।
জানা যায়, রিমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত ও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার-হাজার ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। অনেক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো অঞ্চলে ৬ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় লাখ লাখ পরিবার।
সোমবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। যার মধ্যে দুই কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫০ গ্রাহক ৮০ গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন গ্রাহক ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ওজোপাডিকোর ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১ গ্রাহক।
বরগুনার আমতলী আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লতিফ মিয়া বলেন, ‘রিমালের আঘাতে আমার ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আমার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ সেখানকার আরেকজন বলেন, ‘বাতাসের তাণ্ডবে আমার ঘরটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
ইসহাক মসুল্লি বলেন, ‘পশুরবুনিয়া ও ঘোপখালী বাঁধ ভেঙে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পশুরবুনিয়া এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।’ সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘পশ্চিম সোনাখালী বাঁধ ভেঙে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অগণিত গাছপালা উপড়ে পড়েছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা ও শরণখোলাসহ বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং জোয়ারের পানি উপচে লোকালয় প্রবেশ করেছে। সেখানকার সবচেয়ে বেশি জায়গা প্লাবিত হয়েছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলার তিন থেকে পাঁচ ফুট উঁচু জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই উপজেলায় খোন্তাকাটা ও সাউথখালী ইউনিয়নের দুটি জায়গা থেকে পানি ঢুকেছে শরণখোলায়। রিমালের প্রভাবে প্রচুর গাছপালা ও বাড়িঘর ভেঙেছে।’
পিরোজপুরের জেলার বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে গেছে। পিরোজপুরের সব নিম্নাঞ্চলই প্লাবিত হয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। উপজেলার যে রাস্তাঘাটগুলো রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগই পানির নিচে।
ঝড় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকাগুলোর সঙ্গে ভোলার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান।
তিনি গণমাধ্যমে জানান, এই ঝড়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার বাড়িঘর আংশিক এবং আড়াই হাজার বাড়ি ঘর সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখনও চলছে বিভিন্ন জায়গায় ঝড় চলছে। এখনও পুরো ঝড় থামে নাই। এটা আজ সকাল-বিকেল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকবে। তখন সঠিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ সম্ভব হবে।’
৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত ও ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সোমবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন।’
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি। আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাসমূহে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আট লাখেরও বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি।’
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগকবলিত মানুষের সাহায্যে আমরা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ছয় কোটি ৮৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫টি জেলায় জি আর (ক্যাশ) তিন কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ টন চাল, পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য এক কোটি ৫০ লাখ ও গোখাদ্য কেনার জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলা একটি সমন্বিত কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিপিপিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমরা এ দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, গতকাল ‘রোববার সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানে। যার প্রভাব দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় আজও অব্যাহত রয়েছে। রিমালের কারণে উপকূলীয় এলাকায় পানি ঢুকে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত করেছে। বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগ-পূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ-পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।’
মহিবুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পূর্বাভাস দিয়েছে এবং আগাম কার্যাবলি (এন্টিসিপেটরি অ্যাকশন) ও সাড়া প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আমরা আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্রের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস মডেল নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। আজ (সোমবার) সকাল থেকেই আমরা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে স্থানীয় মানুষের খোঁজখবর নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসাসেবা দিতে মোট এক হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে চালু আছে এক হাজার ৪০০টি টিম।’
সংবাদের প্রতিনিধিরা জানায়, রিমালের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা ৬নং ওয়ার্ড বয়নাকাটা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে অন্তত ৩ শতাধিক পরিবারের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তাদের অভিযোগ, এলাকার পানি চলাচলের বহদ্দাখাল নামে যে খালটি রয়েছে সেটি অনেক প্রাচীনতম খাল। ওই খালটি ভরাট করে স্থানীয় রাসেল চৌধুরী নামে এক প্রভাবশালী ভবন নির্মাণ করার ফলে পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেক পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিক বার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার ভোর থেকেই চাঁদপুরে শুরু হয়েছে ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি চলছে। একটানা চলা এই বৃষ্টি কখনো বাড়ছে, কখনো কিছুটা কমছে। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো বাতাস। ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রবল ঝড়বৃষ্টি চলছে। ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার। গত দুই দিন যাবত চাঁদপুর-ঢাকা ও বিভিন্ন রুটের লঞ্চসহ নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব জানান, ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি ও বৃষ্টি অব্যাহত যে কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বাড়বে। চাঁদপুরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারিসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টায় কেড়ে নিলো ১০ মৃত্যু
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের মধ্যে উপকূলীয় ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশে প্রাণহানির ব্যাপারে এতথ্য নিশ্চিত হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে, খুলনায় চাল চাঁদ মোড়ল, সাতক্ষীরায় শওকত মোড়ল, বরিশালে জালাল সিকদার, মো. মোকলেছ ও লোকমান হোসেন, পটুয়াখালীতে মো. শহীদ, ভোলায় মো. জাহাঙ্গীর, মাইশা ও মনেজা খাতুন এবং চট্টগ্রামে ছাইফুল ইসলাম হৃদয়।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, খুলনায় চাল চাঁদ মোড়ল বসতঘরের ওপর গাছচাপা পড়ে মারা যান। সাতক্ষীরায় শওকত মোড়লের মৃত্যু হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে। বরিশালে বাজারে যাওয়ার পথে গাছ উপড়ে পড়ে মারা গেছেন জালাল সিকদার। এছাড়া বরিশালে মো. মোকলেছ ও লোকমান হোসেনের মৃত্যু হয়েছে একটি রেস্তোরাঁর দেয়াল ভেঙে পাশের খাবার হোটেলে ঘুমন্ত অবস্থায়।
জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে পটুয়াখালীর মো. শহীদ মারা গেছেন। ভোলায় মো. জাহাঙ্গীর ও মাইশার উপর গাছ উপড়েপড়ে মৃত্যু হয়েছে। একই জেলায় টিনের ঘরের আঁড়ার নিচে চাপা পড়ে মনেজা খাতুন মারা গেছেন। চট্টগ্রামে ছাইফুল ইসলাম হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ১৯ উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বুধবার এসব উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।