আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর গাজার জাবাইলিয়াতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তীব্র লড়াই হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। ইসরায়েলের বিমানবাহিনীও এই হামলায় যোগ দিয়েছে।
ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেতজ জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডের উত্তর দিকে প্রবল লড়াই চলছে। রোববার রাতে ইসরায়েলের সেনা জাবাইলিয়াতে আক্রমণ করেছে।
ইসরায়েলের সেনার মুখপাত্র এর আগে জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান জাবাইলিয়ার বিভিন্ন টার্গেটে বোমা ফেলছে। জাবাইলিয়া খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে শরণার্থী শিবিরও ছিল। সাধারণ মানুষকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) এক থেকে দেড় লাখ ফিলিস্তিনিকে জাবাইলিয়া এলাকা থেকে চলে যেতে বলেছে।
জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, জাবাইলিয়া ও রাফা থেকে বেসামরিক মানুষকে সরে যেতে বলায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘১০ লাখ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের সুরক্ষায় কোনো বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ইসরায়েলের নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ‘ইসরায়েল যদি রাফায় বড় ধরনের আক্রমণ করে, তাহলে সেই অপারেশনে ব্যবহার করার মতো জিনিস ও অস্ত্র আমরা দেব না।’
বাইডেন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি রাফায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদি তারা এই হামলা করে যায়, তাহলে তাদের গোলা ও অন্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা হবে।
ব্লিংকেন বলেছেন, ‘যেভাবে অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আমরা সত্যিই চিন্তিত। বেসামরিক মানুষদের রক্ষা করার কোনো বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
সিবিএস-কে আলাদা একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ইসরায়েল কিছু সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু তাতে প্রচুর বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।’
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল একা লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
এদিকে গাজায় ত্রাণ পাঠাবার জন্য নতুন রাস্তা খুললো ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে এই পথ খোলা হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। উত্তর ফিলিস্তিনে পশ্চিম ইরেজে এই পথ খোলা হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজায় রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স