অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক: ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ নিয়ম মেনে সময় নিয়েই হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন।
আজ ২৮ এপ্রিল রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল দুপুর ৩টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসেন এবিবির চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির পাঁচজন সদস্য। এদের মধ্যে ছিলেন সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ডাচ বাংলা ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ওই বৈঠকে ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া আলোচনায় অফশোর ব্যাংকিং প্রসঙ্গও উঠে আসে। বৈঠক শেষে সাড়ে ৫টার দিকে বের হন এবিবি চেয়ারম্যান।
একীভূতকরণের বিষয়ে সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে হইচই করার কিছু নেই। সারা বিশ্বে এটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও হবে। এটা সময় সাপেক্ষ বিষয়। তাই যে ব্যাংকগুলো একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো নিয়ম মেনে সময় নিয়েই হবে। তিনি বলেন, নতুন কোনো ব্যাংকের পক্ষ থেকে একীভূতকরণের বিষয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে আলোচনায় এসেছে, আপাতত সেগুলোই আছে।
একিভূতকরণের সিদ্ধান্তের বিষয়টিকে গ্রাহক যে আমলে নিচ্ছে এ বিষয়ে ব্যাংকার্স সংগঠনের কিছু বলার নেই বলেও উল্লেখ করেন ব্র্যাক ব্যাংকের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বৈঠকে অফশোর ব্যাংকিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এই বিষয়টি বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া যায় এবং এই কার্যক্রম সফল করা যায়- সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ব্যাংক সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবে বেশ কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক প্রথমবারের মতো একীভূত হওয়ার চুক্তি সই হয়। এর পর কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক এবং অপর একটির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কথা শোনা গেছে।