আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়েছে ঠিক একইভাবে সমর্থন প্রত্যাশা করা ইউক্রেনের উচিত হবে না। কারণ দুটি পরিস্থিতি এক রকম নয়।
গত শনিবার দিবাগত রাতে ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইরান। ইরানের ছোঁড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স সহযোগিতা করেছে। এ ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একইভাবে তার দেশের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জোসেপ বোরেল বলেন, ইসরাইল এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি ভিন্ন বিষয় এবং এগুলোকে একভাবে তুলনা করা যাবে না। ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জর্দানের সামরিক ঘাঁটির উপর দিয়ে গেছে। সে কারণে তারা নিজেরাই নিজেদের মতো করে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। জর্দানের মতো ইউক্রেনের মাটিতে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি নেই যেগুলোর উপর দিয়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যায়। ফলে যেভাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বিরুদ্ধে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকা ব্যবস্থা নিয়েছে সেভাবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে ইসরাইল বহু সময় ও অর্থ ব্যয় করে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে সেভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাতারাতি ইউক্রেনে এরকমের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবে না, এমনকি আমাদের হাতে অর্থ থাকার পরও সম্ভব হবে না। তা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনকে বাড়তি বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ইসরাইলকে রক্ষার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জড়িত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাব বোরেল বলেন, সরাসরি ইউরোপীয় ইউনিয়ন জড়িত নয় কারণ এটা একটা দেশ নয়; এটা একটা জোট, যার কোন সামরিক বাহিনী নেই। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কোনো দেশ ইসরাইলকে রক্ষার কাজে জড়িত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কোনো দেশ ইসরাইলকে ইরানের হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলেও জানান তিনি। পার্সটুডে