নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ছয়দিন পর গতকাল অফিস-আদালত খুললেও তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি কোথাও। তবে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল, চিড়িয়াখানা, রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আগারগাঁওয়ে বিমান বাহিনী জাদুঘর এবং বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার দেখতে বের হয়েছেন অনেকে। রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানায়ও ছিল উপচে পড়া ভিড়। এছাড়া এবার বৈশাখের ছুটিও ঈদের সাথে পড়েছে। তাই ঈদের ছুটির সাথে বৈশাখেরও ছুটি কাটিয়ে সবাই।
তবে ঈদের এই ছুটিতে রাজধানীর সব বিনোদন কেন্দ্রকে হার মানিয়েছে হাতিরঝিল। গতকালও সেখানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ঈদ উপলক্ষে হাতিরঝিলও সেজেছে নতুন সাজে। নতুন সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে চক্রাকার বাস ও ওয়াটার বোট।
এ ছাড়া আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক ও সোনারগাঁয়ের লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩০ মিনিট হাতিরঝিলে ঘুরতে খরচ করতে হচ্ছে জনপ্রতি ৮০ টাকা। হাতিরঝিল ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজারকে সড়ক এবং নৌপথে যুক্ত করেছে।
রাজধানীর বংশাল থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসে ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠলাম। এখন হাতিরঝিলের পানিও পরিষ্কার। পানিতে কোনো দুর্গন্ধ নেই। ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠে পরিবারের সবাই খুব আনন্দ করছে।
ধানমন্ডি লেকপাড়ে ঈদে সব বয়সী মানুষের ভিড় বাড়ে। এখানে ঘুরতে আসা জামান হোসেন বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ধানমন্ডি লেকে ঘুরতে এসেছি। তার বাবা খলিল মিয়া জানান, এমনিতেই বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়ার সময় পায় না। ঈদের পর দিন তাই বের হয়েছি। সারাদিন ঘুরে রাতে বাসায় ফিরব।
এদিকে ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে পরিবারের বড় সদস্যদের সঙ্গে শিশু-কিশোরদের ঢল নেমেছে। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। চট্টগ্রাম নগরের চিড়িয়াখানায়ও শুক্রবার দুপুর থেকে লোকজনের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা বলেন, এই কয়েক দিন ছুটির কারণে লোকজন অনেক বেড়েছে। নগরের ফয়’স লেকের কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক, সিওয়ার্ল্ড, চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক ও কাজীর দেউড়ির শিশুপার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়ার জন্য শিশু কিশোর ও তরুণ-তরুণীর ছিল দীর্ঘ লাইন। কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্কের উপব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ঈদ উপলক্ষে পার্ক কর্তৃপক্ষ ম্যাজিক শো ও দর্শকদের জন্য বিশেষ উপহারের আয়োজন করেছে। লোকজনের ছিল বেশ ভিড়। আশা করি আরো কয়েক দিন এ অবস্থা থাকবে। রাজশাহী মহানগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।