কৃষিখাতে বিশেষ সিএসআর এর আওতায় এনসিসি ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের “দ্রুত সময়ে পাট পচানো” সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকল্পে ৯৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
সোমবার (০১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (চলতি দায়িত্ব) এম.শামসুল আরেফিনের উপস্থিতিতে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ এনামুল হক এবং এনসিসি ব্যাংকের এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব মোঃ মনিরুল আলম স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রাপ্ত গবেষক ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, প্রকল্পের পিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম এবং এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম, এসইভিপি ও চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এফসিএ এবং সিআরএম বিভাগের এসভিপি এম. শহিদুল ইসলামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এনসিসি ব্যাংকের কৃষি গবেষণায় সহায়তার এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানান। “অল্প পানি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পদ্ধতি” এর মতো একটি জটিল গবেষণা প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য তিনি এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাটের উৎপাদন ও গুণগতমান বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ রোধ এবং জীব বৈচিত্র সংরক্ষণেও এই গবেষণা প্রকল্পটি বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (চলতি দায়িত্ব) এম.শামসুল আরেফিন বলেন, এনসিসি ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান ছাড়াও ইতোমধ্যেই প্রান্তিক পর্যায়ে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন প্রকারের সবজী ও পাট বীজ, সার ও কীটনাশক এবং চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাট গবেষণা প্রকল্পে বিশেষ সিএসআর এর আওতায় এনসিসি ব্যাংক অর্থায়ন করেছে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য গবেষণা প্রকল্পেও সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।