টেকসই অর্থায়ন বিষয়ে জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) আজ (০১ এপ্রিল) গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নিজস্ব এমপ্লয়ীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ সেশনের আয়োজন করেছে।
‘নেভিগেটিং সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্সঃ রিপোর্টিং, ইএসআরএম গাইডলাইন এন্ড গ্রীন ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সেশনটিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থায়ন বিভাগের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী; যুগ্ম পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, আহমেদ জুবায়ের মাহবুব এবং মোঃ আবু রায়হান।
বক্তারা টেকসই অর্থায়নের বিভিন্ন দিক যেমন, টেকসই বিষয়ে প্রতিবেদন, পরিবেশগত ও সামাজিক বিষয়ক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (ESRM) নির্দেশিকা এবং সবুজ পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ইবিএল ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার তার বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি ক্রমান্বয়ে তীব্র হয়ে উঠছে এবং এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর উচিৎ অনতিবিলম্বে টেকসই বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা। মুনাফা অর্জনের মতোই পরিবেশ ও সমাজের ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে”।
তিনি আরও বলেন, “সমাজের কাছে আমরা বিভিন্নভাবে ঋণী। ইস্টার্ন ব্যাংকের কাছে টেকসই হওয়ার অর্থ সমাজের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং সমাজের কল্যানে অবদান রাখার একটি সুযোগ। আজকে এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের প্রতি আমার অনুরোধ তারা জেন প্রাপ্ত শিক্ষাকে নিজস্ব স্থান থেকে কাজে লাগান। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনয়ন করতে পারব এবং অনাগত প্রজন্মগুলোর জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মান নিশ্চিত করতে পারব”।
একটি দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৯ সালে ইবিএল তাদের ক্রেডিট চর্চায় ইএসআরএম মেট্রিক্স ব্যবহার শুরু করে এবং দেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে ঐ বছরই ১২মেগাওয়াট পিভি সৌর প্যানেল সংযোজনের জন্য রহিম আফরোজ একুমুলেটরকে সবুজ অর্থায়ন করে। পরিবেশগত ও সামাজিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বৈশ্বিক মানদন্ড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিগত ১৫ বছরে ইবিএল ১০টির অধিক উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (DFI) এর সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
২০২২ সালে ইবিএল ডিইজি এবং তাদের পার্টনার জয়েন্ট ইমপ্যাক্ট মডেল ফাউন্ডেশন (JIM) এর সহযোগিতায় কার্বন একাউন্টিং বিষয়ক একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করে। ২০২৩ সালে JIM ব্যবহার করে ইবিএল পোর্টফোলিও লেভেল কার্বন নিঃসরণ এবং সবুজ ও টেকসই অর্থায়নের ফলশ্রুতিতে সমর্থিত কর্মস্থান ও জিডিপি’তে সৃষ্ট অবদানের পরিমাপ করে। এই সময়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের সবুজ অর্থায়ন এবং টেকসই অর্থায়নের পরিমান ছিল যথাক্রমে ১,১৭৯ এবং ৯,২৫৩ কোটি টাকা। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি- সবুজ অর্থায়নের ক্ষেত্রে ৪৪৩ শতাংশ এবং টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে ১১৬ শতাংশ।