নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে নতুন বাজার খুঁজতে বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইকোনমিক মিনিস্টার, কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
একই সঙ্গে ২০২৫ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সব কমার্শিয়ালকে কর্মরত দেশের একটি করে স্টল নিশ্চিতে এখন থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তার উৎপাদন ও মূল্য মনিটরিং এবং এর তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশনা দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বিশ্বের ২৩ দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী কথা বলেন।
তিনি জানান, যেসব দেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়, সেসব দেশে বিকল্প কি পণ্য রপ্তানি করে আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য আনা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি কোনো বাণিজ্য বাধা (ট্যারিফ-নন ট্যারিফ) থাকে তাও দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।
সব কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কর্মরত দেশের প্রথম ১০টি আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের দামসহ মন্ত্রণালয়ে তালিকা প্রেরণ করতে বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিটি দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীক অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু তাদের সঙ্গে নিয়মিত সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশি পণ্যে ব্রান্ডিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিজ্ঞাপন
কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও উদ্ভাবনী হতে এবং যে দেশে তারা কর্মরত সেসব দেশের ভাষা আয়ত্ত করার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেসব দেশ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক জোটে আছে তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে এবং টার্গেট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে এগ্রোফুড, সি ফুড, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাই-সাইকেল, ফার্নিচার এবং চাসহ অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। এগুলো রপ্তানির নতুন বাজার ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।