জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আপনাদের (মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী) দাবির প্রেক্ষিতেই প্রতি বছর প্রথমেই আপনাদের সুযোগ করে দেই। সে দাবি রক্ষা করে সম্মানের সাথে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। যাতে কোনো প্রকার ভাঙচুর না হয়, কেউ যাতে কোনো অভিযোগ না করে, এটা আমার অনুরোধ। আমরা গতবারও শুনেছি ভাঙচুর হয়েছে, কিছু জিনিস খোয়া গেছে, নানা ধরনের কথাবার্তা শুনেছি। আমরা চাই সুন্দরভাবে মাঠটা বুঝিয়ে দেবেন। এছাড়াও গোয়েন্দা বাহিনীরও একটি অনুরোধ রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা না বাড়িয়ে সকাল থেকেই মাঠটি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করবেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে ইজতেমার প্রস্ততি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলো-আপ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে আমরা যারা এসেছি সবাই চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্য এই ইজতেমার সুনাম যাতে অক্ষুন্ন থাকে। গতকাল থেকে কিছু ঘটনা ঘটছে, যা দুঃখজনক। সবার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রইলো এসব ঘটনা আর ঘটাবেন না, সবাই মিলেমিশে থাকবেন। মসজিদে গিয়ে, আল্লাহর ঘরে গিয়ে দখল-বেদখল করেন- এমন কিছু আমাদের জন্য লজ্জার। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকল এসব কাজ থেকে আপনারা বিরত থাকবেন, মিলেমিশে চলবেন। আমাদের সে শিক্ষাটাই দেবেন। আল্লাহর দাওয়াতের শিক্ষাটা যেমন দিচ্ছেন, তেমনি মিলেমিশে থাকার শিক্ষাটাও দেবেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের কাজে সহযোগিতা করবেন। বিশেষ করে এবার বিদেশি মেহমানদের জন্য নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। প্রথমপর্বে আগত বিদেশি মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর বিমানবন্দর হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা তাদের স্ব-স্ব দেশে ফিরবেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম সিমিন হোসেন রিমি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, ইজতেমার মুরব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
আগামী ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্ব ও ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।