নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। গোটা বাংলাদেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা নিজেই ছিলেন নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ ডামি, কেউ মনোনীত, কেউ নৌকা, সবাই তার প্রার্থী। কোন আসনে কে পাস, কে ফেল সব তার হাতে পূর্বনির্ধারিত।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ২৮ পারসেন্ট থেকে ৪১ পারসেন্ট ভোট কাউন্ট করার ফর্মুলাও তার। যদিও ভোটার উপস্থিতি ছিল মাইক্রোস্কোপিক। সুতরাং শেখ হাসিনার এক হাতের মুঠোয় যে সবকিছু তা প্রমাণ করে বিশ্বে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের নতুন মডেল হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রতারণা, মিথ্যাকে যদি কোনো শিল্প ধরা হয় তাহলে শেখ হাসিনা সেই শিল্পের নিপুণ কারিগর। তার এই নব উদ্ভাবিত বাকশালের লেটেস্ট ভার্সনকে গোটা দেশসহ বিশ্ববাসী ছুঁড়ে ফেলেছে। ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন, ফলাফল, ভোটের হার বাড়ানোর ছেলেখেলা-তামাশা-নাটক সবকিছুই নিবিড়ভাবে অবলোকন করেছে সমস্ত পৃথিবীবাসি-মিডিয়া-সরকার-পর্যবেক্ষকগণ।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দি হয়ে এখনো এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে। সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও সরকার সেগুলোকে ভ্রুক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ।
অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।