সম্প্রতি রিকশা ও রিকশাশিল্পের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে ইউনেসকো থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের চারুকলার ইতিহাসে রিকশা ও রিকশাচিত্রের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য আছে। লক্ষণীয়, ইউনেসকো বাংলাদেশের যে বিষয়গুলোকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার মধ্যে বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীদের অবদান। এ ছাড়া জামদানি, শীতলপাটি ও সম্প্রতি যুক্ত হওয়া রিকশাচিত্র—তিনটিই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীদের কৃতিত্ব।
সুপ্রাচীনকাল থেকে বয়নশিল্পে বাংলাদেশ পৃথিবী বিখ্যাত। সেই হিসেবে জামদানি কিংবা শীতলপাটির স্বীকৃতি আমাদের আনন্দিত করে, অবাক করে না। পক্ষান্তরে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রের ইতিহাস খুব প্রাচীন নয়। মোটামুটি ১৯৪৭ সালের দেশভাগের কিছু আগে ঢাকায় রিকশা ও রিকশাচিত্রের প্রচলন হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এরপর গত ৭৫ বছরে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পধারা নিজ গুণে বিকশিত হয়েছে এবং সম্প্রতি সম্মানজনক এই স্বীকৃতি লাভ করেছে, যা আমাদের বিশেষ ভাবনার খোরাক জোগায় বৈকি!
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের চারুকলার ইতিহাস হিসেবে আমাদের সামনে যা হাজির করা হয়, তা মূলত প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক। ইউরোপকেন্দ্রিক জ্ঞানের আলোকে আধুনিকতাবাদী ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে যে ইতিহাস এবং যার মধ্যে ঔপনিবেশিক প্রভাব প্রবল। আর এর ফল হয়েছে এই যে বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পধারাকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করা এবং উপযুক্ত স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সেসব শিল্পধারাকে বিকশিত করার অনুকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
১৯৪৭-এর দেশভাগের পর বাংলাদেশের চারুকলার ইতিহাসে দুটি বিশিষ্ট বা স্বতন্ত্র ধারার উদ্ভব ঘটেছিল। প্রথমটি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক চারুকলার ধারা, যা বিকশিত হয়েছে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত আর্ট কলেজকে কেন্দ্র করে (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ)। কিন্তু প্রায় একই সময়ে এই শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে আরও কিছু শিল্পধারার উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছিল, যাকে বলা যেতে পারে অপ্রাতিষ্ঠানিক ধারা। আর এই অপ্রাতিষ্ঠানিক ধারার নেতৃত্ব দিয়েছেন সুনীল, আর কে দাস, আলাউদ্দিন, আলীনুর, দাউদ উস্তাদ প্রমুখ শিল্পী। এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীদের মাধ্যমেই বিকশিত হয়েছে এ দেশের সিনেমা ব্যানার পেইন্টিং, রিকশাচিত্র বা রিকশা আর্ট, ট্রাক আর্ট ইত্যাদি। আর এগুলোর মধ্যে যেটি নিজস্ব শিল্পশৈলী, উপস্থাপনরীতি ও বিষয়বস্তুর স্বকীয়তায় এর মধ্যেই দেশে-বিদেশে সুধীজনের দৃষ্টি কেড়েছে, তা হলো রিকশাচিত্র।
মূলত চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে তিন চাকার বাহন রিকশার সূত্রপাত হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে ১৮৭০ সাল নাগাদ। অবিভক্ত বাংলায় হাতে টানা রিকশার প্রচলন ঘটে কলকাতায়, বিশ শতকের প্রথম ভাগে। কাছাকাছি সময়ে বর্তমান বাংলাদেশে এই বাহনের প্রচলন হয় প্রথমে ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জে, পরে ১৯৩৮ সালে ঢাকায়। তবে এখানে সে সময় প্রচলন ঘটে সাইকেল রিকশার, মানুষটানা রিকশা নয়।
বাহারি ও শৌখিন পরিবহন হিসেবে ঢাকায় রিকশার আগমন ঘটলেও ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ক্রমে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে এটি অভিজাতদের বাহন হিসেবে পরিচিত ছিল। আর দেশভাগের কিছু আগে–পরে থেকেই পূর্ববঙ্গে রিকশা পেইন্টিং বা রিকশাচিত্রেরও সূত্রপাত। সম্ভবত সুনীল দাস হলেন এই বঙ্গের প্রথম রিকশাচিত্রী।
ঢাকাকেন্দ্রিক আধুনিক ধারার প্রাতিষ্ঠানিক চারুকলার পাশাপাশি লোকশিল্পীদের মাধ্যমে রিকশাচিত্র তৎকালীন পূর্ব বাংলায় জনপ্রিয় হতে থাকে। গত শতকের পঞ্চাশ দশকে শুরু হয়ে পরবর্তী এক দশকের মধ্যেই এই শিল্পধারাটি বাংলাদেশে জনপ্রিয় হতে থাকে। এ দেশের রিকশাচিত্রের প্রবীণ ও বিখ্যাত শিল্পী আর কে দাস, আলীনুর, দাউদ উস্তাদ, আলাউদ্দিনসহ অন্যরা পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হন। ছবি আঁকার আনন্দ, একই সঙ্গে কাজটির ক্রমবর্ধমান চাহিদা তাঁদের এ পেশায় যুক্ত হতে উৎসাহ জুগিয়েছিল। তাঁদের অনেকেই আগের বা পৈতৃক পেশা ছেড়ে এ পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। বলা ভালো, এ দেশের এই বিশেষ শৈলীর উদ্ভব ও বিকাশে চারুশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিল্পীদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই।
করণকৌশলের দিক থেকে রিকশার অঙ্গসজ্জা দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে রয়েছে রেক্সিন, প্লাস্টিক, আয়না, ঘণ্টা বা বাতিল সিডি ও অন্যান্য উপকরণে রিকশা অলংকরণ (টিন কেটে বিভিন্ন কারুকাজ করার উদাহরণও দেখা যায়), অন্যদিকে রয়েছে রঙের সাহায্যে রিকশাকে চিত্রিত করার বিষয়টি। তবে নতুন রিকশাকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলায় রিকশাচিত্রীদের বিশেষ কৃতিত্ব দিতেই হবে। রিকশাচিত্রের মূল লক্ষ্য রিকশাকে আকর্ষণীয় করে তোলা। আর এ জন্য নানা সময়ে বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়, বিশেষত পেছনের প্যানেলে আঁকার জন্য। সাধারণত শিল্পীরা মহাজন ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছবি এঁকে থাকেন।
গত ৭০ বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে রিকশাচিত্র তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে রিকশাচিত্র করা হতো মূলত শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র তারকাদের প্রতিকৃতি অবলম্বনে। স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধকে বিষয়বস্তু করে ছবি আঁকা হতো রিকশায়। আবার সত্তরের দশকে নতুন দেশের নতুন রাজধানী হিসেবে ঢাকা যখন বাড়তে শুরু করে, তখন রিকশায় আঁকা হতো কাল্পনিক শহরের দৃশ্য। পাশাপাশি গ্রামের জনজীবন, প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তো আঁকা হতোই, এখনো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্টাইলের ফুল, পাখি—এগুলোও রিকশাচিত্রের বিষয়বস্তু।
বিভিন্ন মিথ বা ধর্মীয় কিংবদন্তিও বাদ যায়নি রিকশাচিত্র থেকে। যেমন মুসলিম উপাখ্যানের দুলদুল, বোরাক কিংবা আরব্য রজনীর আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ও দৈত্য, রাজকন্যা, রাজপ্রাসাদ প্রভৃতি। ‘সংগ্রাম’ নামে পরিচিত জয়নুল আবেদিনের কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির ছবিটি রিকশাচিত্রীরা বিভিন্নভাবে এঁকেছেন। আবার মরুভূমির ভেতর উট নিয়ে চলেছে দুই বেদুইন বা অচেনা সমুদ্রসৈকতে খেলা করছে বালক—দূরবর্তী এমন ভিনদেশি দৃশ্যও দেখা যায় রিকশাচিত্রে।
স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন, শহীদ মিনার ইত্যাদি স্থাপত্যও বহুবার এ চিত্রের বিষয় হয়েছে। মোগল স্থাপত্যের নিদর্শন তাজমহল রিকশাচিত্রের আরেকটি জনপ্রিয় বিষয়। আর ইদানীং রিকশাচিত্রীদের আরেকটি প্রিয় বিষয় হলো যমুনা নদীর বুকে বঙ্গবন্ধু সেতু। এ ছাড়া ডাইনোসরের সঙ্গে যুদ্ধরত লুঙ্গি পরা খালি গায়ের বাঙালি এ ধারার চিত্রীদের অপূর্ব কল্পনাশক্তির অন্যতম নিদর্শন।
পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে রিকশায় মানুষ আঁকার ওপর একবার সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তখন মানুষের স্থলে বিভিন্ন জীবজন্তুর ছবি আঁকা হতো। স্বাধীনতার পর সে নিষেধাজ্ঞার বিলোপ ঘটলেও সত্তরের দশকের মাঝামাঝি রিকশায় মানুষ আঁকার ওপর আবার সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তখন রিকশাচিত্রীরা আবারও মানুষের পরিবর্তে পশুপাখির ছবি আঁকতে শুরু করেন। যেমন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে একটা শিয়াল, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বাঘ—শহরের এমন অতিপরিচিত দৃশ্য; শুধু সে দৃশ্যে মানুষ নেই, মানুষের স্থান দখল করেছে পশুপাখি। অনেকটা প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে আঁকা হলেও এগুলো বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল এবং এই ধারার কাজের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের সমাজ বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
সরেজমিন দেখা গেছে, শিল্পধারা হিসেবে রিকশাচিত্র ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু। ঢাকায় এই ২০২৩ সাল পর্যন্ত আনুমানিক ১০ জন সক্রিয় রিকশাচিত্রী আছেন। এ ছাড়া রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, খুলনা, পাবনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ইত্যাদি শহরে কাজ করেন আরও কিছু রিকশাচিত্রী। হাতে আঁকা প্লেটের বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল প্রিন্টের ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই বিশেষ রীতির চিত্রকলা আজ হুমকির সম্মুখীন। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ রিকশাচিত্রী পেশা পরিবর্তন করেছেন বা বিকল্প কাজ খুঁজে নিয়েছেন। ঢাকায় যাঁরা এখনো সক্রিয়, তাঁরা মূলত বিদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল। বিদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামীণ দৃশ্য—ধান ভানা, উঠানে বিশ্রাম নেওয়া, নদীতীরে সূর্যাস্ত ইত্যাদির পাশাপাশি সিনেমার পোস্টারের অনুকরণে আঁকা ছবিতে ক্রেতাদের চেহারার আদল ফুটিয়ে তোলা হয় এসব ছবিতে।
রিকশাচিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনাও। সম্প্রতি জার্মানির ক্যাসল শহরে অনুষ্ঠিত ‘ডকুমেন্টা ১৫’-তে বাংলাদেশের অনেক শিল্পীর সঙ্গে অংশ নিয়েছেন রিকশাচিত্রী তপন দাস ও সিনেমা ব্যানারশিল্পী আবদুর রব খান। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার মিউজিয়ামে রিকশাচিত্রের কর্মশালা করেছেন আহমেদ হোসেন। এমনকি কিছুদিন আগে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রিকশাচিত্রের ওপর কর্মশালা, যেখানে নতুন শিল্পশিক্ষার্থীরা সরাসরি রিকশাচিত্রীদের কাছে হাতে-কলমে শিখতে পেরেছেন বিভিন্ন কলাকৌশল এবং এই শিল্পের নিজস্ব নান্দনিকতা। এ ছাড়া ‘বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট’, ‘সন্তরণ’, ‘যথাশিল্প’—এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রিকশাচিত্র নিয়ে নানা রকম কাজ করছে।
দেশের বাইরেও রিকশাচিত্রের রয়েছে দারুণ সমাদর। যেমন ১৯৮৮ সালে লন্ডনে মিউজিয়াম অব ম্যানকাইন্ডে (এখন ব্রিটিশ জাদুঘরের অন্তর্ভুক্ত) শিরিন আকবরের কিউরেটিংয়ে ঢাকার রিকশাচিত্র নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল—‘ট্রাফিক আর্ট: রিকশা পেইন্টিং ফ্রম বাংলাদেশ’। ব্রিটিশ জাদুঘরেও বাংলাদেশের সুসজ্জিত ও চিত্রিত রিকশা রয়েছে। জাপানের ফুকুয়াকা এশিয়ান আর্ট মিউজিয়ামেও বাংলাদেশের রিকশাচিত্র নিয়ে প্রদর্শনী হয়েছে এবং এ জাদুঘরে রিকশাচিত্রের একটা বড় সংগ্রহ আছে। ২০১৩ সালে জাপানের তাকামাৎসু শহরে একটি আর্ট ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের রিকশাচিত্র বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে। নেপালেও হয়েছে বাংলাদেশের রিকশাচিত্রের প্রদর্শনী। তবে বাংলাদেশে রিকশাচিত্রের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনীটি হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে। এ প্রদর্শনীতে ৫০০ রিকশাচিত্রী ও ৮৩ বেবিট্যাক্সিচিত্রীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যা এখন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
রিকশাচিত্র বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশৈলী। ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি কি এই শিল্পধারার বহমানতা নিশ্চিত করতে পারবে? আমার অনুমান, যদি এখনই সুচিন্তিত ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে হয়তো এর স্থান হবে শুধু জাদুঘরে।
ইউনেসকোর স্বীকৃতির পর রিকশা ও রিকশাচিত্র নিয়ে নতুন করে পরিসর তৈরি হয়েছে। আনন্দ উদ্যাপনের পাশাপাশি এই শিল্পশৈলী নিয়ে কী করা যায়, সে বিষয়ে এখন ভাবা জরুরি। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে রিকশাচিত্র স্বতন্ত্র শিল্পশৈলী হিসেবে টিকে থাকবে বলে আশা করা যায়।