‘নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ইনশাআল্লাহ নির্বাচন পর্যন্ত যদি বেঁচে থাকি, যুদ্ধটা আমি শেষ করব। আমার নির্বাচনী প্রস্তুতি ভালো চলছে।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে রোবাবর (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাঈদের আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের শুনানি শেষে মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মাহি বলেন, আচারণ বিধি সম্পর্কে আমি জানতাম। তবুও একটু কনফিউশন থেকে গিয়েছিল। সেখান থেকে আমার ভুল হয়েছে। আমি যদিও কারো কাছে ভোট চাইনি। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। দোয়া চাইতে গিয়েছি। এটাও একটা আচারণবিধির মধ্যে পড়ে। আমি এর জন্য আদালতকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা আমাকে কঠোরভাবে সর্তক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যিনি বর্তমানে এমপি আছেন, তাকেও শোকজ করা হয়েছিল। উনারা আসলে সবার জন্য সমান। মাঠ পর্যায়ের অবস্থান আপাতত খুব ভালো। আপনারা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। বাকিটুকু আল্লাহ ভরসা। এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ হুমকি দেয়নি। কেউ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতেও বলেনি। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু হবে। প্রচারণার পরে সব বোঝা যাবে।
নির্বাচনে পছন্দের প্রতীকের বিষয়ে মাহি বলেন, পছন্দের কোনো প্রতীক নেই। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ হবে। তখন ঠিক হবে আমি আসলে কোনো প্রতীকে নির্বাচন করছি। এরপরে প্রচারণা। ইনশাআল্লাহ প্রচারণা তো সেভাবেই করতে হবে। যেহেতু বড় বড় দুটি উপজেলা। প্রচারণা মাঠে গিয়ে আমি কতটুকু সমস্যা ফেস করব, সেটি আপনাদের জানানো হবে। যদি আমার কর্মীরা রিস্ক ফিল করে তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাকে সাপোর্ট করবেন। দেশবাসীকে সেটা জানাবেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) শোকজ করা হয় মাহিয়া মাহিকে। মাহি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে শোকজ করা হয়।