১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চুয়াডাঙ্গায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষদের।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাস জনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে দেড় হাজারের বেশি বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট আসাদুর রহমান মালিক খোকন।
তিনি বলেন, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়া রোগীও বাড়ছে। দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিদিন ৪০০-৫০০ শীতজনিত কারণে হাসপাতালের আউটডোরে শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
কাঠমিস্ত্রী শাহিন বলেন, ঠান্ডায় হাত-পায়ের পাতা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে বের হয়েছি। হালকা বাতাসেও পুরো শরীর কাঁপছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে কাজে বের হওয়া যাবে না।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। চলতি মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল তাপমাত্রা একই থাকতে পারে এবং পরশু থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।