বাংলাদেশে ১৫ বছরের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি কাতারএনার্জি ও যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির চুক্তি হয়েছে।
সোমবার এই দুই কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করবে কোম্পানি দুটি। আর এই সরবরাহের পরিমাণ হবে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন করে।
রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলোর কাছে এলএনজি সরবরাহের জন্য ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি চুক্তি করেছে কাতারএনার্জি। আর এ জন্য কাতারএনার্জি বিশাল পরিসরে তাদের নর্থ ফিল্ড এক্সপ্যানশন প্রকল্প শুরু করেছে। এসবের ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে কাতারের এলএনজি উৎপাদন ৭ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টন থেকে ১২ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতার। আর বাংলাদেশে এলএনজির বৃহত্তম সরবরাহকারী কাতার। প্রাকৃতিক গ্যাসকে সাধারণত অন্তর্বর্তীকালীন জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়; অদূর ভবিষ্যতেও যার চাহিদা থাকবে।
কাতারএনার্জির প্রধান নির্বাহী সাদ আল-কাবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘নতুন এই চুক্তি এক্সিলারেটের সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। একই সঙ্গে চুক্তিটি বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা এবং বৃহত্তর অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সহায়তা করবে।’’
গত মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-কাবি বলেছিলেন, এশিয়া এবং ইউরোপে দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি সরবরাহ কাতারএনার্জি চুক্তিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি চুক্তি আসন্ন।
কাতার এনার্জি বলেছে, আগামী ২০২৬ ও ২০২৭ সালে কাতারের কাছ থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০২৮ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত ১০ লাখ মেট্রিক টন এলএনজি কিনবে এক্সিলারেট। কাতারের কাছ থেকে কিনে নেওয়া এই এলএনজি বাংলাদেশের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে সরবরাহ করবে মার্কিন কোম্পানিটি।
বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহের আলোচনা শেষ ধাপে আছে বলে গত সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন এক্সিলারেট এনার্জির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল বুসটস।