নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরির শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি যে শূন্য পদগুলো আছে, সেগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা আমরা জানি। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট জনগণ— এই চারটি স্তম্ভকে কেন্দ্র করে সকল মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে, ওই মন্ত্রণালয় যে অংশের সাথে জড়িত, সেই অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার কথা বলেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে উনার জিরো টলারেন্স থাকবে। সকলকে একই নীতি অনুসরণ করার জন্য উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেগুলো আছে, সেগুলো যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, সেটি মনিটরিং করার জন্য উনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
যে প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন— এমন তথ্য জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, সেটির খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন। এছাড়া, সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয় এবং বাস্তবায়ন করা হয় সেটির জন্য উনি বলেছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য উনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আগামী পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রমজান সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক যেন থাকে, সে ব্যাপারেও কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যা ছিল, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে উনি নির্দেশনা দিয়েছেন ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে তারা যেন এখনই কর্মপরিকল্পনা নেন। সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে মনিটরিং করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি উৎপাদনের কথা উনি বলেছেন। কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। একই সঙ্গে কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আরও সংরক্ষণাগার নির্মাণের জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।