নিজস্ব প্রতিবেদক: যারা দলকে না জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেছেন, আমাদের রাজনীতি মুদ্রার এপিট-ওপিট নয়, আওয়ামী লীগ বিএনপিও নয়। এটা একটা সত্যিকারের রাজনীতি। যদি আমরা এগিয়ে নিতে পারি, হয়তো দেশের জনগণ আবার আমাদেরকে মূল্যায়ন করবে। কিন্তু নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হয়ে আবার যারা সরে যাচ্ছেন তাদের উচিত দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা। যারা দলকে না জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর সদর উপজেলার পানবাড়ি বাজারে লাঙ্গল মার্কার নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন তিনি সদরের শিবের বাজার এবং মমিনপুর বাজারেও নির্বাচনী পথসভায় অংশ নেন।
জিএম কাদের বলেন, যখন আমরা দেখলাম আন্দোলন হচ্ছে দুই পাশে। এক পাশে একটা আছে এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করেই ফেলবে, আর একটা আছে যেকোনো ভাবে হোক নির্বাচন প্রতিরোধ করবে। আমাদের জাতীয় পার্টিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাদের দলের অর্থ ছিল না, আমাদের দলে অনেক অর্থশালী লোক ছিল কিন্তু সেখানে আমরা থাকতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের জন্য আমরা সংসদে থাকলে ষড়যন্ত্রের শিকার না হয় তাহলে আমরা জনগণের জন্য সেবা করতে পারব। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা জনগণের জন্য আরও বড় কিছু করতে পারব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা এমন কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আমাদের রাজনীতিতে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আমরা কোনো মহাজোট করি নাই। এবং আমরা কোনো সিট ভাগাভাগি করি নাই, পরিষ্কাররভাবে আমি বলতে চাই।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের শুধু একটা দাবি ছিল, আমরা সংসদে যেতে চাই সংসদে থাকতে চাই। যেহেতু আমাদের রাজনীতি সংসদে থাকাতে আমরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের কথা দেশবাসীকে শোনাতে পেরেছি।
এসময় তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি যদি শক্তিশালী হয় তাহলে রংপুরের উন্নয়ন হবে। বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা পাবে রংপুরের মানুষ। আমি নির্বাচিত হলে রংপুরের প্রত্যাশিত উন্নয়ন উপহার দেব।
পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাফিউর রহমান শাফি, কেন্দ্রীয় সদস্য ও রংপুর মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, জেলা মহিলা পার্টির সম্পাদিকা নাহিদ ইয়াসমিন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ মাসুদ নবী মুন্না প্রমুখ।