সকলের সংবাদ : সাহিত্যিক-সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সরকার আমিন। ‘আবদুল গাফফার চৌধুরীর ছোটোগল্প : বিষয় ও প্রকরণ’ শীর্ষক বক্তব্য প্রদান করেন রকিবুল হাসান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানের শুরুতে আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত অমর একুশের গান পরিবেশিত হয়।
রকিবুল হাসান বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরীর সাংবাদিক এবং কলাম-লেখক পরিচিতির আড়ালে যেন চাপা পড়ে গেছে তাঁর কথাসাহিত্যিক পরিচয়। অথচ তিনি বাংলা ছোটোগল্পের কুশলী কারুকারদের একজন। তাঁর ‘সম্রাটের ছবি’ এবং এ ধরনের আরও বেশকিছু গল্পে উপনিবেশিত সমাজ এবং মানুষের মনোলোক অসাধারণ ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হয়েছে। তিনি ধর্মীয় ও সামাজিক রক্ষণশীলতার নানা চিত্র তাঁর নানা ছোটোগল্পে শৈল্পিক প্রতিবাদ হিসেবে সার্থকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী আমাদের সাহিত্যভুবনে এবং জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি কবিতা ও কথাসাহিত্যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন কিন্ত একুশের গানের কালজয়ী রচয়িতা হওয়ায় তাঁর অন্য সব পরিচিতি যেন ম্লান হয়ে পড়ে। আমাদের একুশ এখন সারাবিশ্বের, আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত একুশের গানও এখন পৃথিবীব্যাপী মাতৃভাষাপ্রেমী মানুষের মর্মবাণী।
মোঃ হাসান কবীর বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী একুশের অমর গানের রচয়িতা হিসেবে বাংলার ইতিহাসে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন। বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সাইমন জাকারিয়া।