নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীর ভাষানচর ও উড়িরচর দ্বীপদুটোকে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সাথে সংযুক্তির পাঁয়তারার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালী বাসী।
তারা জানান ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এ দ্বীপ দুটো নোয়াখালীর অংশ। এ ধরণের কোন অপচেষ্টা কখনোই মেনে নেয়া হবে না। এর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর অধিবাসীরা জানান, কেবল ভাষানচর কিংবা উড়িরচর নয় সন্দ্বীপও একসময় নোয়াখালীর অধীন ছিলো। ১৯৫৪ সালে সন্দ্বীপকে নোয়াখালী থেকে আলাদা করা হয়। নোয়াখালীর মূল ভূ-খণ্ড থেকে সন্দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। আর সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৫৬ কি.মি.। দু এলাকার মানুষের সৌহার্দ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তা ছাড়া নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও উড়িরচরের মাঝে ক্রসড্যাম বাস্তবতায়িত হলে সড়কপথেও যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
নোয়াখালীর বাসিন্দারা মনে করেন ভাষানচর ও উড়িরচরকে সন্দ্বীপের সাথে অন্তর্ভুক্তি নতুন বিড়ম্বনার সৃষ্টি করবে যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত: প্রভাবশালী মহলের চাপে ভাষাণচর ও উড়িরচরকে সন্দ্বীপের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চুড়ান্তপ্রায় বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।