২০১৮ সালে আরব আমিরাতের এই দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। মূল দল সেদিন আগে ব্যাট করেছিল। প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর আবারও সেই একইমাঠে আরও একটি এশিয়া কাপের ফাইনাল। এবার অবশ্য বাংলাদেশের যুবদল মাঠে। আর সেই ফাইনালে উইকেটরক্ষক শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৮২ রানের বড় সংগ্রহ।
২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ওপেনিং ব্যাটার লিটন দাস। আর আজ পেলেন আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী। তবে সেবার বাংলাদেশ খেই হারিয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে তেমন কিছু অবশ্য হয়নি। শিবলীর পাশাপাশি বড় রানের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর আরিফুল ইসলামরাও। শিবলীর দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে রিজওয়ানের ৬০ আর আরিফুলের ঝোড়ো ৫০ এর সুবাদে বড় সংগ্রহ জমা করেছে জুনিয়র টাইগাররা।
টসে জিতে এদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরব আমিরাত। সেই সিদ্ধান্তই যেন শাপে বর হয়ে এসেছে বাংলাদেশি যুবাদের জন্য। দুবাইয়ের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে অবশ্য শুরুটা খুব বেশি ভাল হয়নি। রান যেমন উঠেছে ধীরগতিতে। তেমনি দলীয় ১৪ রানের মাথায় জিশানের উইকেট বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি খানিক কঠিনই হয়ে পড়ে।
তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিবলী। দুজনের এই জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। দুজনেই রান তুলেছেন সাবলীল ভঙ্গিতে। ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন দুজনেই। সবকিছু যখন ছিল ঠিকঠাক, তখনই আঘাত আসে টাইগার শিবিরে। ৬০ রান করে ফিরে যান রিজওয়ান।
এরপরে ক্রিজে এসেই ঝড় তুলেছেন আরিফুল ইসলাম। শিবলীর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৬ রানের। এরমাঝে ৫০ রান একাই তুলেছিলেন আরিফুল। ৩৯ বলেই পেয়েছেন ঝোড়ো ফিফটির দেখা। একইসঙ্গে শতকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছিলেন শিবলী। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় শতক। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ১১৬ রান। এছাড়া ছিল আরও দুই ফিফটি।
আরিফুল অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির পরের বলেই। এরপর খানিক ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত। তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। তবে অবিচল ছিলেন শিবলী। নিজের ইনিংসটা টেনে নিয়েছেন ১২৯ পর্যন্ত। বাংলাদেশও তাতে পেয়েছে ২৮২ রানের পুঁজি।