নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৫১ জনকে একযোগে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। একই কারণে এর আগের দুই ধাপে ১৪১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। সব মিলে এবারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে এখন পর্যন্ত ১৯২ জন নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি।
আজ বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃত ৫১ নেতার নাম ও পদবি প্রকাশ করা হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন।
যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি
বিএনপির তালিকা অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মোকাররম হোসেন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন, গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান প্রামাণিক, রংপুর সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সিকদার, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সুকুমার রায়, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাইদুর রহমান, নওগাঁর আত্রাই উপজেলা বিএনপির সদস্য একরামুল বারী, সিরাজগঞ্জের শাহজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাহফুজা বেগম, খুলনার ডুমুরিয়া জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. মনিবুর রহমান, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী হাওলাদার, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাদশা, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সদস্য আরিফুল ইসলাম ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মোট ৮০ জনকে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথমে একযোগে ৭৩ জনকে বহিষ্কার করার পর আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়। পরে চারজন নেতা দল থেকে অব্যাহতি নেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। সবশেষ আজ ৫১ জনকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিল দলটি।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের পর তাঁদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর নানা চেষ্টা করা হয়। এ লক্ষ্যে প্রার্থীদের কাছে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের একটি চিঠি পাঠানো হয়। পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বোঝানোর জন্য। সব উপেক্ষা করেই তাঁরা নির্বাচন করছেন।