নিজস্ব প্রতিবেদক: দুষ্টচক্র পেঁয়াজ, আলু ও ডলারের বাজারে যেমন আছে, তেমনি ব্যাংক খাতেও আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
সোমবার (৩ জুন) সকালে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি অনেক কর্মী। সব জায়গায় বিরাজ করছে দুষ্টচক্র। যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে চাই, তাহলে আগে এই দুষ্টচক্রকে রোধ করতে হবে। তা না হলে তারা যেভাবে বিভিন্ন বাজার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে, আমাদের অগ্রগতি হবে না। সরকার যেটা চাচ্ছে, সেটাও হবে না। আমরা চাই দুষ্টচক্রকে দমন করে এগিয়ে যেতে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিংয়ে যারা ঋণ দেন, যারা ঋণ নেন তাদের মধ্যেও এ চক্র আছে। এছাড়াও কোনো কোনো ব্যক্তি অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে। এদের দমন করতে হবে। আমরা পরামর্শ দেই, কিন্তু আমরাতো আর সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, বাস্তবায়ন করেন, তারা কাজটি করছেন কি না সেটা দেখতে হবে। তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থনীতি সমিতির ১১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আরও বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে সরকারের নীতি শূন্য, কিন্তু দেশে দুর্নীতি বহুল বিস্তৃত। এ জঞ্জাল না সরাতে পারলে কাঙ্ক্ষিত পথে দেশ এগিয়ে চলা কঠিন হবে। সম্প্রতি দু-একজন রাঘববোয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে শুরু করা পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, আশা করি তা চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে, অতীতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে সেরকম এবারের অভিযান যেন মাঝে থেমে না যায়। বড় বড় দুর্নীতিবাজকেও জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যখাত এখন বৈষম্য সৃষ্টি ও দারিদ্র্য সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম। আর কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে আমাদের দেশে আসলেই তেমন কোনো শক্তিশালী স্বাস্থ্যখাত নেই। স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান (২০২৩-২৪ অর্থবছরে) সরকারি বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। আমরা এ বরাদ্দ ১.৯৪ গুণ বৃদ্ধি করে ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করছি। আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব হলো স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান ডাইরেক্টরেটের পাশাপাশি আরও একটি ডাইরেক্টরেট প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার নাম হবে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ডাইরেক্টরেট’।