আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে বেশিরভাগ স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। যদিও তাদের একটি ‘উল্লেখযোগ্য বাহিনী’ গাজার বাকি অংশে কাজ চালিয়ে যাবে। খবর- আল জাজিরার
ইসরায়েলি সেনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তাদের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। বিশদ বিবরণ না দিলেও রয়টার্সকে তারা একটি ব্রিগেড গাজায় রেখে দেওয়া কথা জানায়। একটি ইসরায়েলি ব্রিগেড সাধারণত কয়েক হাজার সৈন্য দ্বারা গঠিত।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৭ এপ্রিল, আইডিএফ-৯৮ কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসে নিজেদের মিশন শেষ করেছে। এ বাহিনীর গাজা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য প্রস্তুত ও পুনরুদ্ধার করা। তবে, আইডিএফ-১৬২ কমান্ডো ডিভিশন ও নাহাল ব্রিগেডের নেতৃত্বে একটি উল্লেখযোগ্য বাহিনী গাজা উপত্যকায় কাজ করে চলেছে। আইডিএফ তাদের কাজের স্বাধীনতা ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা ভিত্তিক অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা রক্ষা করবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, রাফাহ শহরে একটি অপারেশন চালানো হবে বলে জোর গলায় দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বাহিনীগুলো তাদের পরবর্তী মিশনের জন্য গাজা ছেড়ে যাচ্ছে। তবে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আল-শিফায় অপারেশন ও রাফাহ এলাকায় তাদের আসন্ন মিশনের অপেক্ষা করছি।
তিনি তার সেনাদের অভিযান দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, আমরা আল-শিফা হাসপাতালের অভিযানে তাদের দক্ষতার উদাহরণ দেখেছি যা রাফাহে তাদের আসন্ন মিশনের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ইসরায়েলিদের ‘কৌশল’ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি মূলত নতুন করে শুরু করা। রাফাহ শহরে স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হতে ইসরায়েলিরা একটি বাহিনীকে পুনরায় মোতায়েন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রও এই ‘ডেট সেট প্ল্যান’ সম্পর্কে অবগত।
ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটির মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা গত চার মাস ধরে ওই ভূমিতে অবস্থান করছে। আমরা জেনেছি, তারা ক্লান্ত। তাদের বিশ্রাম ও সুস্থতা দরকার।
অন্যদিকে, মিসরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল কাহেরা জানিয়েছে, কায়রোতে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে অংশ নেওয়া পক্ষগুলোর প্রতিনিধিরা। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও কাতারের প্রতিনিধিরা কায়রো থেকে ফিরে গেছেন। তারা দুদিন পরে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে আবারও আলোচনায় যোগ দেবেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও কায়রো ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেটজ এক প্রতিবেদনে জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা কায়রোতে আলোচনায় অংশ নেয়, যেখানে হামাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি।