নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার। সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক একীভূত করা উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি।
আজ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট বা বাংলাদেশ উন্নয়ন হালনাগাদ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক। প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের অর্থনীতিবিদ রনজিত ঘোষ ও বার্নার্ড হ্যাভেন।
সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। একীভূত করার এ প্রক্রিয়া বেশ দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। গত মার্চ মাসে শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল কিছু ব্যাংক একীভূত করার পরিকল্পনা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একীভূত প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত। একীভূত করা নিয়ে কী ধরনের আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা হয়, তা–ও দেখতে হবে। কারণ, ভালো ব্যাংক অতিরিক্ত দায় নেয় না।
ব্যাংক একীভূত করা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের আবদুল্লায়ে সেক বলেন, ব্যাংক খাতে যেকোনো সংস্কার কার্যক্রম কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যেমন ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে সম্পদের মান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত। ব্যাংক একীভূত ও অধিগ্রহণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বানানো উচিত। ব্যাংক খাতে সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে বিশ্বব্যাংক।
ব্যাংক একীভূত করা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, সমস্যায় পড়া ব্যাংক (ট্রাবলড ব্যাংক) নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাংকের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একীভূত প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত। একীভূত করা নিয়ে কী ধরনের আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা হয়, তা–ও দেখতে হবে। কারণ, ভালো ব্যাংক অতিরিক্ত দায় নেয় না।