নিজস্ব প্রতিবেদক: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের প্রতিটি সদস্য দেশের সব সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্ব পালনে সবসময় অবিচল থেকেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা লগ্নে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ভবনেও পুলিশ নিজের জীবন দিতে দ্বিধা করেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশের প্রায় এক লাখ জনবল বাড়ানো হয়েছে। এ বর্ধিত জনবলের কারণে আমরা কার্যকরভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কীভাবে আখড়া বেঁধেছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। একসঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হোলি খেলা চলছিল। একটি মহল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করার অপচেষ্টা চালাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে।
আইজিপি বলেন, একসময় ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করা কঠিন ছিল। আমরা তথাকথিত সোর্স নির্ভর ছিলাম। আজ পুলিশ দ্রুততম সময়ে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করছে। দেশে স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকার কারণে মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সিএমপি গত ৪৫ বছর ধরে গর্বের সঙ্গে নগরবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চট্টগ্রামের নগরবাসী পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালনে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন আগামী দিনেও তা প্রসারিত থাকবে।
এর আগে আইজিপি রোববার সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার ডাঙ্গার চরে নবনির্মিত নৌ তদন্ত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি নৌ তদন্ত কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।