নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া নিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যেসব আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিল, তারাও সন্তুষ্ট। আপনারা দেখছেন জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিনিয়ত, এই নির্বাচন এবং সরকারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি ভুল রাজনীতি করেছে এবং দেশবিরোধী রাজনীতি করেছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বলেছিলাম… আপনারা কী ধরনের নির্বাচন চান— উৎসবমুখর না কি উত্তেজনামূলক নির্বাচন। আপনারা বলেছিলেন উৎসবমুখর। তাহলে সে নির্বাচনটাই এবার হয়েছে। উৎসবমুখর নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাদের সাথে দেশবিরোধী অপরাধীরা থাকত, স্বাধীনতা বিরোধীরা থাকত ও যুদ্ধাপরাধীরা থাকত। নির্বাচন হত উত্তেজনাপূর্ণ। বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এত সুন্দর সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন এর আগে কখনো হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের যে কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলছে, সেই কাজগুলো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শেষ করা-এটা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনেক প্রজেক্ট আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে প্রজেক্ট সেটি হলো মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ। এ রকম অসংখ্য প্রকল্প আছে। সেগুলোর শেষ করা আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যতগুলো প্রকল্প আছে, সবগুলো শেষ করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। সেটিও আমরা সম্পন্ন করতে চাই। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে নদী-নালা ও খাল-বিলের উন্নয়ন করব।
খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী যে ইশতেহারের কথা বলেছেন, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। আমরা কর্মসংস্থানের ওপর বিশেষ নজর দেব। তরুণ যুবকরা যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখব। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। আরও প্রকল্প আমাদের পাইপলাইনে আছে। সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আমরা এটুকুই শপথ নেব যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের যে প্রত্যয়… আমরা যেন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারি। সেই সাহস, সিই অনুপ্রেরণা নেওয়ার জন্যই আজ টুঙ্গিপাড়ায় আসা।