অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কয়েকবার আক্রমনের শিকার হযেছেন অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন। পালিয়ে থাকার চেষ্টা করেও থাকতে পারেননি। বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করছিলেন। একজন সৃজনশীল মানুষ হয়ে তার এমন দুরবস্থা কেন এ প্রশ্ন অনেকেই করছেন।
অগ্রনী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এমন একজন মানুষের কথা তুলে ধরবো। যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তরের অনুপ্রেরণা দিতেন অথচ তিনি আজ সংকটে আবর্তিত হয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি হলেন মো: মোবারক হোসেন।
জানা গেছে, মো: মোবারক হোসেন ১৯৮৪ সন থেকে ২০২৩ এর ১০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসিতে কর্মরত ছিলেন। কর্মকালীন সময়ে তিনি তিনবার অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অবসরকালীন সময়ের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি অফিসার সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। অবসরকালীন সময়ে তিনি জুরাইন সমাজ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পশ্চাৎপদ, অবহেলিত ও নির্যাতিত নারীদের সমঅধিকার নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেকে পরিপূর্ণ সম্পৃক্ত করেন।
এ সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ এর সন্ত্রাসী ও হেফাজতে ইসলামের উগ্রবাদীদের আক্রমণের শিকার হন। এক পর্যায়ে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
একজন খ্যাতিমান এবং নজিরবিহীন সততার শূন্যে সন্দিত মানুষ কতটা অসহায় হয়ে নিজের জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হন তা শুনলে বিস্মিত হবার কথা। তিনি ক্রমাগতভাবে ৫ বার আক্রমনের শিকার হবার পর দেশ ছেড়ে চলে যান।
৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পুনরায় নতুন করে আক্রমণের শিকার হন। এ সময় একদিকে তার বাড়ীতে পুলিশের অভিযান অপরদিকে তার বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে।
মোবারক হোসেন বলেন, আমার জীবনের বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নাই। সরকার পরিবর্তনে আমার কোন পরিবর্তন হয় নাই। বহুবার আক্রান্ত হয়েছি, এখন আর নতুন করে আক্রান্ত হতে চাই না। এখন আর স্বপ্ন দেখি না, মনের আনন্দে হৃদনের গভীরতম প্রদেশ থেকে উচ্চারণ করিনা এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। আশা জাগানিয়া জীবনের স্বপ্ন আর কোন দিন পূরন হবে এটা আর ভাবতে পারি না।



