নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ১২টি বড় ‘অনিয়মের’ তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি। প্রথম পর্যায়ের তদন্ত শেষ হলে কমিটির কাজের পরিধি বাড়ানো হবে। আরও কিছু অনিয়ম খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে এই কমিটিকে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির ভবনের মাল্টি পারপাস হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রধান বিএসইসি যুক্তরাষ্ট্রের টেরা রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনালের এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়া ইউ আহমেদ, সদস্য আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এইমস অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সাইদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোঃ জিশান হায়দার এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বিএসইসির কমিশনার এটিএম তারিকুজ্জামান, কমিশনার আলী আকবরসহ সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রোববার বিএসইসি আলোচিত তদন্ত কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্টভাবে ১২টি বিষয় খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিটিকে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির প্রধান জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন কোন জায়গায় অনিয়ম দুর্নীতিগুলো হয়েছিল, সেগুলো আমরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে বের করব।
কমিটির সদস্য ইয়াওয়ার সাইদ বলেন,বিগত বছরগুলোতে যেসব অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে পুঁজিবাজারে, সেগুলো সাংবাদিকরা রিপোর্ট করেছেন। এখন ওইসব রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করব। আমরা এখন আছি, এখানে কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই। এখন কোনও এমপি বা মন্ত্রী আমাদের বলবে না ওর নামে রিপোর্ট করো না। আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করব। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ হবো। মানুষ যেন আমরা মরে গেলেও বলে যে, মার্কেটের জন্য কিছু লোক কাজ করে গেছে।
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতা একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের যে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।
তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জিসান হায়দার বলেন, শেয়ারবাজারের যেসব দুর্নীতি ও কারসাজি হয়েছে, সেগুলোর যেসব ক্রিমিনাল অফেন্স আছে, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সামনে যে সময়টা এসেছে, এটা বারবার আসে না। আমরা প্রতিশ্রুতি করছি আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।।