নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র কমিটি কোনো দুর্নীতি ধরবে না। বরং দুর্নীতির মাত্রা নির্ধারণ করে তা তুলে ধরবে বলে জানানো হয়েছে। এ কমিটি দুর্নীতি ধরার জন্য নয়। এটি কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা চিহ্নিত করবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে বলে জানিয়েছেন ড. দেবপ্রিয়।
তিনি বলেন, আমরা পুঁজি পাচার নিয়ে আমরা কাজ করবো। টাকা কীভাবে গেছে এটা হাত বদল হয়ে গেছে। পুঁজি পাচারকারীদের সম্পদ চিহ্নিত করে ফ্রিজ করতে হবে। টাকা আনার ক্ষেত্রে চুক্তি নেই এটা করতে হবে। পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা জটিল ব্যাপার। তবে টাকা পাই আর না পাই তারা যেন শাস্তি পায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনে শ্বেতপত্র কমিটির প্রথম বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। আগামী মঙ্গলবার কমিটির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
পুঁজি পাচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুঁজি পাচার নিয়ে আমরা কাজ করবো এবং এ বিষয়ে আলোচনা করবো। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। যা শনাক্তের পর দেশে মামলা করতে হবে। একই সঙ্গে আবার সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী এগোতে হবে। অপরাধীদের তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ কমিটির মূল কাজ অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা আনতে সহযোগিতা করা। আমাদের লক্ষ্য হলো বর্তমান অর্থনীতির ভিত্তি ঠিক করা এবং দুর্নীতির মাত্রা ও কারণ নির্ধারণ করা। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।
তিনি আরও জানান, কমিটি নতুন নীতিমালা তৈরিতে সহযোগিতা করবে এবং ভবিষ্যতের রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করবে। কমিটি তিনটি মূল বিষয়ে কাজ করবে-সরকারি তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা এবং সময়মতো প্রতিবেদন প্রকাশ।
মেগা প্রকল্পগুলোর দিকে নজর দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আপাতত আমাদের কাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এডিপির উন্নতি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। মেগা প্রকল্পের দায়-দেনা সম্পর্কেও আলোচনা হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে আমরা সরাসরি কাজ করবো না। তবে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের মাধ্যমে এটি করা হবে। আমরা শুধু এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ্য লোক নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করবো।