নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ এখন শুধু ‘ফ্যাসিবাদী’ নয়, তারা ‘সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদ’ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশটা দুই ভাগে ভাগ করেছে সরকার। একটি হলো আওয়ামী লীগ, আর একটি বিরোধীদল। শুধু তাই নয়, বর্ণবাদ সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকান ও ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে।
এসময় তিনি সংগ্রামের বিকল্প নেই জানিয়ে বিশ্ব রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে দলের কৌশল নির্ধারণের কথা বলেন।
বুধবার দুপুরে কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে এ এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তরুণদের আরও শক্ত করে জেগে উঠার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র কাজ মানুষকে জাগিয়ে তোলা। সংগঠিত করা। এরমধ্য দিয়ে ১৫ বছর ধরে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তার পতন নিশ্চিত করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক করার কিছু নেই। এটি বিতর্ক করলে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক করা হবে। যারা বিতর্ক করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল একটা, তা হলো গণতন্ত্র। এ সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনো কাজ করেনি, বরং ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচন ক্ষমতা কেন্দ্রিক ব্যবহার করেছে। এমনকি যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদের জেলে পুড়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না। তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র চায় না। আমরা এমন একটা দেশ চাই, যে দেশে ভোটের অধিকার থাকবে।
‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন, পাঠক’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমানকে কে লেখা পাঠিয়ে দিয়েছেন। কার লেখা পাঠ করেছেন। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে কাউকে তো খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু কথা বলার রাজনীতি করলে হয় না।
মন মানসিকতার দিক দিয়ে আমরা আফ্রিকার জঙ্গলে আছি মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, সেতু, ব্রিজ দিয়ে কি হবে। এটা তো উন্নয়ন নয়। যেখানে আমি আমার ভোট দিতে পারি না।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে, ইনশাআল্লাহ বিএনপির বিজয় হবে। গণতন্ত্রের বিজয় হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।