ক্রীড়া প্রতিবেদক: দুই ম্যাচ খেলেই সাউথ আফ্রিকার বিমান ধরার কথা ছিল ডেভিড মিলারের। বিয়ের তাড়া থাকলেও এখনই দেশে ফেরা হচ্ছে না প্রোটিয়া এই ব্যাটারের। তামিম ইকবাল ও ফরচুন বরিশাল মালিকপক্ষের অনুরোধে ফাইনাল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিলার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বিধ্বংসী এই ব্যাটারের খেলার খবর নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আগামী ৩ মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন মিলার। বিয়ের ব্যস্ততার জন্য সাউথ আফ্রিকার এসএ২০ লিগ শেষ হওয়ার পরও বিপিএল খেলতে আসছিলেন না তিনি। তবে অনেক চেষ্টার পর বরিশালের ডাকে সাড়া দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যদিও প্রাথমিকভাবে মিলারের সঙ্গে দুই ম্যাচের চুক্তি ছিল বরিশালের।
ইতোমধ্যেই দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মিলার। এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৭ রান করেছিলেন তিনি। পরের মাচে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ২২ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই সাউথ আফ্রিকায় ফেরার কথা ছিল তার।
ভোর রাতে ফ্লাইট থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকে গেছেন মিলার। বরিশালের চাওয়াতে ফাইনাল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফাইনাল খেলার জন্য অবশ্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নেবেন প্রোটিয়া এই ক্রিকেটার। মিলারকে পাওয়ায় খানিকটা স্বস্তি পেতে পারে বরিশাল। কারণ মিলার রাজি না হলে অন্য ক্রিকেটারকে আনতে হতো তাদেরকে। এর সবচেয়ে বড় কারণ স্কোয়াডে ভালো মানের বিদেশি ব্যাটার না থাকা। বর্তমান স্কোয়াডে ব্যাটার হিসেবে আছেন কেবল আহমেদ শেহজাদ। শুরুর দিকে ভালো খেললেও পরবর্তীতে ছন্দ হারিয়েছেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচের একটিতে হাফ সেঞ্চুরি করলেও সবশেষ ৬ ইনিংসে শেহজাদ করেছেন ৬৮ রান।
এ ছাড়া আছেন কেবল স্পিন অলরাউন্ডার ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। তাকেও খুব বেশি ম্যাচ খেলায়নি। এদিকে ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে আছে বরিশাল। ১ মার্চ কুমিল্লার বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে তামিমের দল। সেই ম্যাচে দেখা যাবে চোট কাটিয়ে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানও। কুমিল্লার জন্য স্বস্তি বয়ে আনতে পারে মুস্তাফিজের ফেরা।