ক্রীড়া প্রতিবেদক: নতুন করে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগে থেকেই তিনি আর বিসিবির দায়িত্বে থাকবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি নিজেও ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। পাপন বিসিবির পদ ছাড়লে, কে আসবেন এই দায়িত্বে– সেই গুঞ্জনও চলছে জোরেশোরে। অনেকের মতে পদটিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিয়ে মুখ খুলেছেন পাপনও।
আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বিসিবি সভাপতি পাপন। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পরবর্তীতে মাশরাফিকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে তিনি দেখতে চান কি না। জবাবে পাপন বলেন, ‘এটা বলা মুশকিল, প্রথম কথা হচ্ছে এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আগে আসতে হবে তাকে। প্রথমে তাকে কাউন্সিলরারশিপ নিতে হবে। কাউন্সিলর হওয়ার পরে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা ঠিক করবে কে সভাপতি হবে। প্রসেসটা খুব সিম্পল।’
কেবল মাশরাফিই নন, বিসিবি সভাপতি হওয়ার মতো আরও অনেকে আছেন বলে— এক এক করে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটারদের নাম বলেন পাপন, ‘এখন ধরেই নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে। নতুন আরও দু’জন বা একজন আসলো, এখানে সিনিয়রদের মধ্যে সিরাজ (এনায়েত হোসেন সিরাজ) ভাই আছে, ববি (আহমেদ সাজ্জাদুল আলম) ভাই, জালাল ইউনুস এবং মাহবুব আনাম আছে। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছে আকরাম খান আছে দুর্জয় (নাইমুর রহমান) আছে আমাদের সুজন (খালেদ মাহমুদ) আছে। আমি বলছি যে অনেকেই আছে। এখন তারা কাকে বেছে নেবে এটা কিন্তু বলা কঠিন। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগ নেই।’
বিসিবিতে নতুন করে দায়িত্ব নিয়েই যিনিই আসুক, তিনি বাইরের কেউ হবেন না বলে জানিয়েছেন নবমনোনীত এই ক্রীড়া মন্ত্রী, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হলে, তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডিরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’