স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল পাকিস্তান। এবার তারা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সফরকারী দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে। তবে তাদের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২২৭ রানের লক্ষ্য থেকে ৪৬ রান দূরত্বে থেমেছে শাহিন আফ্রিদির দল। তবে এমন হারের ম্যাচে একাধিক নজির গড়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আইয়ুব। ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ে তিনি দেশের হয়ে রেকর্ড গড়েছেন।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আজ (শুক্রবার) পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়। অতীত পরিসংখ্যান এই ভেন্যুতে বড় রানের আভাস দিয়েছিল। যা কিউই ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে আরও একবার দেখা মেলে। ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৫ বলে ৩৪, কেইন উইলিয়ামসন ৪২ বলে ৫৭ রান ও ড্যারিল মিচেল সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। ২৭ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় এই ইনিংস সাজান মিচেল। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে কিউইদের পুঁজি দাঁড়ায় ২২৬ রানের।
স্বাগতিকদের হারানো ৮ উইকেটের মধ্যে চারটিতেই অবদান আছে পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবের। বাউন্ডারিসহ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে তিনি এদিন চারটি ক্যাচ নিয়েছেন। যা পাকিস্তানের কোনো ফিল্ডার হিসেবে টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড। এরপর ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছেন ২১ বছর বয়সী এই ওপেনার। যদিও তার সেই তাণ্ডব থামে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে কাটা পড়ার মাধ্যমে।
এর আগে মাত্র ৮ বলেই সাইম ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। তার এই আগ্রাসী ইনিংসে ছিল তিনটি ছয় ও দুটি চারের বাউন্ডারি। অল্প সময়েই নিজের সামর্থ্য জানান দিয়েছেন সাইম। এরপর নন-স্ট্রাইকে থাকাবস্থায় তিনি রানআউট হয়ে যান। তবে তার আগে স্ট্রাইকরেটের দিক থেকে একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন সাইম। এই ম্যাচে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৩৩৭.৫, যা পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে (টি-টোয়েন্টি) ন্যূনতম ২৫ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর মাধ্যমে তরুণ এই ক্রিকেটার পেছনে ফেলেছেন শহিদ আফ্রিদির করা এক রেকর্ডকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যেখানে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২৬০। এছাড়া একই সংস্করণের ২০২২ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোহাম্মদ হারিস ২৫৪.৫ স্ট্রাইকরেটে ১১ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন।